কয়েকদিনে এ ডিম হবে ৫০ কোটি টাকার সম্পদ

হাসান আকবর | মঙ্গলবার , ২০ জুন, ২০২৩ at ৫:২১ পূর্বাহ্ণ

দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদীতে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ডিম পাওয়ায় অন্তত ৫০ কোটি টাকার পোনার বাণিজ্য হবে। কিছুটা বিলম্বে হলেও প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ডিম পাওয়ায় খুশি সংশ্লিষ্টরা। তবে অব্যবস্থাপনায় ডিম নষ্ট হয়ে যায় কিনা তা নিয়ে সংশয় ব্যক্ত করা হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, হালদা নদীতে রোববার রাতে মা মাছ ডিম ছেড়েছে। গত বছরের তুলনায় প্রচুর ডিম পাওয়া গেছে এবার। এবারের ডিমের পরিমাণ নির্ণয়ে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের গঠন করা কমিটি আগামী শুক্রবার বসছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছে যে, এবার ১৮ থেকে ২০ হাজার কেজি ডিম সংগ্রহ হয়েছে। ৩ শতাধিক পোনা সংগ্রহকারী এই পোনা সংগ্রহ করে রেণু ফোটানোর কার্যক্রম শুরু করেছেন। সংগৃহীত পোনা থেকে ৪০০ কেজি রেণু পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে হালদা গবেষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মঞ্জুরুল কিবরিয়া জানান, এই পোনা থেকে ৪ কোটিরও বেশি টাকার রেণু উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

প্রতি কেজি রেণু এক থেকে দুই লাখ টাকায় বিক্রি হয় বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রেণু থেকে চল্লিশ শতাংশ বাদ দিয়ে তিনদিনের মাথায় পাওয়া যাবে ধানী রেণু। যার বাজারমূল্য অন্তত দশ কোটি টাকা। কিন্তু ধানী রেণু আঙ্গুলি রেণুতে পরিণত হলে এর দাম হবে অন্তত ৩০ কোটি টাকা। এভাবে গতকাল সংগৃহীত ডিম মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে অন্তত ৫০ কোটি টাকার সম্পদে পরিণত হবে। হোয়াইট গোল্ড খ্যাত এই রেণু পরবর্তীতে কয়েক হাজার কোটি টাকার মাছ সৃষ্টি হবে বলেও তিনি জানান।

অধ্যাপক মঞ্জুরুল কিবরিয়া জানান, পানির মান ভালো হওয়ার পাশাপাশি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার ফলে এবার প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ডিম পাওয়া গেছে। হালদা এবার ডিম সংগ্রহকারীদের হতাশ করেনি। তিনি বলেন, এর আগে কেবলমাত্র ২০২০ সালে এই ধরণের ডিম সংগ্রহ হয়েছিল। ওই বছর ২৫ হাজার ৫৩৬ কেজি ডিম সংগৃহীত হয়েছিল। এবার ধারণা করা হচ্ছে অন্তত ১৮ থেকে ২০ হাজার কেজি ডিম সংগ্রহ হয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে ৭৩৫ কেজি, ২০১৭ সালে ১ হাজার ৬৮০ কেজি, ২০১৮ সালে ২২ হাজার ৬৮০ কেজি, ২০১৯ সালে ৬ হাজার ৯৬৮ কেজি, ২০২১ সালে ৮ হাজার ৫৮০ কেজি এবং ২০২২ সালে পেয়েছিল ৭ হাজার ২৩৫ কেজি। গতকাল সংগৃহীত ডিমগুলো ঠিকঠাকভাবে রেণু ফোটানোর উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপবিত্র ঈদুল আজহা ২৯ জুন
পরবর্তী নিবন্ধ২০ সালের পর এবার বেশি ডিম