কয়েকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন পেছাতে ষড়যন্ত্র করছে

চট্টগ্রামে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সভায় সেলিমা রহমান । ‘নারী অধিকার ও ক্ষমতায়নে বিএনপিই পথপ্রদর্শক’

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৯ অক্টোবর, ২০২৫ at ৯:৫১ পূর্বাহ্ণ

কয়েকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন পেছাতে এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে নানা ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান। তিনি বলেন, ধর্মকে ব্যবহার করে প্রান্তিক জনগণের সরল বিশ্বাসকে কাজে লাগানো হচ্ছে। সহজ সরল মানুষের এই বিভ্রান্তি কাটাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে।

তিনি গতকাল শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই বিপ্লব হলে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ‘সমাজে নারী ও শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা বিএনপির নির্বাচনী অগ্রাধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব এডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশীদ হারুন। উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া ও সদস্য সচিব লায়ন মো. হেলাল উদ্দিন।

নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক বেগম সেলিমা রহমান বলেন, বাংলাদেশ একটা ষড়যন্ত্রের জালে ঘুরপাক খাচ্ছে। আওয়ামী লীগের দোসররা, যারা এখনো বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে মব সৃষ্টি করে দেশটাকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, বিএনপির একটাই লক্ষ্য ছিল, জনগণের অধিকারকে ফিরিয়ে দিয়ে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করা। সেই জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রত্যেকটা লোক তার পছন্দ মত ভোট দেবে। যাকে ভোট দেবে সেটা আমরা মেনে নিব। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার পুরোপুরি ফিরে পায়নি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আগামী নির্বাচনে বিএনপির জয় নিশ্চিত করতে হবে।

নারীরাই বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার প্রধান শক্তি মন্তব্য করে তিনি বলেন, নারী অধিকার ও ক্ষমতায়নে বিএনপিই পথপ্রদর্শক। অতীতেও নারীর ভোটেই বিএনপি পাঁচবার রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ইনশাল্লাহ, আগামী দিনে নারীরাই বিএনপির সঙ্গে থেকে জনগণের সঙ্গে সেতুবন্ধন তৈরি করে দলকে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতায় আনবে।

সেলিমা রহমান বলেন, শিক্ষার অভাব ও যৌতুকের কারণে নারীরা আজও নিপীড়িত। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই যৌতুকবিরোধী আইন প্রণয়ন করেছিলেন, যা নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মাইলফলক।

এডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিতে নারী প্রার্থীদের অংশগ্রহণ আরও বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এর মাধ্যমে নারীরা নিজেদের অধিকার ও অবস্থান আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন। দেশের নারী শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল শহীদ জিয়া ও বেগম খালেদা জিয়ার হাত ধরে। এখন তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশে নতুন করে নারী জাগরণ ঘটবে। বিএনপি নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ও নেতৃত্ব বিকাশে ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে। নারী উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক অগ্রগতি সম্ভব নয়। বিএনপি সবসময় নারীর অধিকার রক্ষায় সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছে।

হারুনুর রশীদ বলেন, সরকার ঘোষিত আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন প্রতিহত করতে দেশ বিদেশ থেকে যতই ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ তা প্রতিহত করবে।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, জেসমিনা খানম, পটিয়ার আফরোজা বেগম জলি, বোয়ালখালীর শাহিদা আকতার শেপু সীতাকুণ্ডের নাজমুন নাহার চৌধুরী, বিজিয়া মেম্বার, হাটহাজারীর নুরী মাহফুজা ইউছুপ, লায়লা ইয়াসমিন, টেকনাফের তাহেরা আকতার মিলি, খাগড়াছড়ির তাকলিমা সুলতানা, কাজুরী ত্রিপুরা, শিউলি বেগম, রাঙ্গামাটির বর্ণা চাকমা, বিলকিস বেগম, নুর নাহার বেগম, বান্দরবানের এডভোকেট উমা সিং মারমা, জায়তুন নাহার, কঙবাজারের হুমায়রা বেগম, চকরিয়ার রাশেদা বেগম, উখিয়ার রোখসানা বেগম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকর্ণফুলীতে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধজুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করলেই সাইট ব্লক