মহেশখালীর পাহাড়ি এলাকায় লাউ ও শসা ক্ষেত বাঁচাতে কলার সঙ্গে বিষ মিশিয়ে বানর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের গহীন পাহাড়ি এলাকা ভাদিতইল্যা ঘোনা নামক স্থানে এই নিষ্ঠুর ঘটনা ঘটে।
পাহাড়ি জমিতে কাজ করতে যাওয়া প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন কৃষক জানান, গত মঙ্গলবার বিকেলে বড় মহেশখালীর পাহাড়ি এলাকা ভাদিতইল্লা ঘোনায় নিজতালুক পাড়া গ্রামের জনৈক মোজাফফার মাস্টারের ছেলে আজমলের ক্ষেতের পাশে ও পাহাড়ের পাদদেশে বেশ কিছু মৃত বানরকে পড়ে থাকতে দেখেছি। বানরগুলো প্রায়সময় লাউ ক্ষেতে নেমে ক্ষেত বিনষ্ট করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ক্ষেতের মালিক দিনের কোনো একসময় বিষ মিশ্রিত কলা রেখে যায়। বানরগুলো ঐ কলা খেয়েই মারা যায়। এ বিষয়ে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন এনভায়রনমেন্ট মুভমেন্টের মহেশখালী উপজেলার সভাপতি দিনুর আলম বলেন, ঘটনার বিষয়টি তারা শুনেছেন। তিনি বানর হত্যার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। তিনি বলেন, বুধবার সকাল থেকে বানরগুলোকে মাটি চাপা দেয়া হচ্ছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। প্রমাণ লোপাটের জন্যই এমনটা করা হচ্ছে বলে তার ধারণা।
বিষ প্রয়োগে বানর হত্যার ঘটনার বিষয়ে চট্টগ্রাম বনবিভাগের উপকূলীয় বিভাগীয় কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, আমি অফিসিয়াল অন্য কাজে মহেশখালী অবস্থানকালীন ঘটনার বিষয় জেনে সরেজমিনে তদন্ত করে তিনটি মৃত বানর পেয়েছি। সেগুলোর ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বানরগুলোকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে। তবে মনে হয়েছে এ ঘটনা আরো দুই তিন দিন আগের। বনবিভাগের স্টাফসহ আমি ঘটনায় জড়িত মোজাফফর মাস্টারের বাড়িতে গেলে কাউকে পাওনি। বাড়ির সকলেই পলাতক রয়েছে।
ঘটনাস্থলের আওতাভুক্ত এলাকা মুদিরছড়া বিটের কর্মকর্তা অঞ্জন কান্তি বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তিনিও তিনটি মৃত বানর পেয়েছেন। এই বিষয়ে জানতে মহেশখালী রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. সাদেকুল ইসলাম বলেন, ক্ষেতে বিষ প্রয়োগের কারণেই এমনটা ঘটেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। তবে ঘটনার আসল কারণ জানতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজকালের মধ্যেই প্রতিবেদন পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।