ক্ষুব্ধ পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের কর্মবিরতির সিদ্ধান্তের পর সমঝোতা বৈঠক

শাহ আমানত সেতু এলাকায় অভিযান

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৭ জুন, ২০২৩ at ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ

সিএমপির ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের টিআই (বাকলিয়া) মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে শাহ আমানত সেতু ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪৯৫টি অবৈধ গাড়ি আটক ও বিভিন্ন অপরাধে ১৭৪টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এসবসহ বিভিন্ন অভিযোগে ক্ষুব্ধ পরিবহন মালিক শ্রমিকরা তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে এবং আগামী ৮ জুন ভোর ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।

এ সংক্রান্ত বিষয়টি পারস্পরিক বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ নেন সিএমপির উপকমিশনার (ট্রাফিক দক্ষিণ) এন এম নাসিরুদ্দিন। ৬ জুন সকাল ১১টায় নগরীর আইস ফ্যাক্টরি রোডে ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বৈঠকে উপপুলিশ কমিশনার এন এম নাসিরুদ্দিন বলেন, মে মাসে ডিসি ট্রাফিকের নেতৃত্বে টিআই (বাকলিয়া) মো. মনিরুজ্জামান ৪৯৫টি অবৈধ গাড়ি আটক ও বিভিন্ন অপরাধে ১৭৪টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করে। এজন্য ট্রাফিক পুলিশের ওপর ক্ষিপ্ত হওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। সড়কে অবৈধ গাড়ি চলাচল করলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনো রুটে অবৈধ গাড়ি চলতে দেয়া হবে না।

তিনি বলেন, সড়কে বৈধ গাড়ির আড়ালে ফিটনেস ও রুট পারমিটবিহীন কিছু কিছু গাড়ি অবৈধভাবে চলাচল করছে। পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে এসব গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আলোচনা সভায় পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ৮ দফা দাবি পেশ করার পর দাবিগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার বিষয়ে আশ্বাস দেন ডিসি ট্রাফিক।

গাড়ির মামলার জরিমানা সংক্রান্ত বিষয়ে পরিবহন শ্রমিক নেতৃবৃন্দের বক্তব্যের আলোকে ডিসি নাসিরুদ্দিন বলেন, সড়ক পরিবহন আইন২০১৮ অনুযায়ী ইট্রাফিক প্রসিকিউশন অ্যান্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টেমে অটো জরিমানা নির্ধারণ হয়। একই অপরাধে দ্বিতীয়বার মামলা হলে তার ফাইন ডাবল হয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানবিক বিবেচনায় সিঙ্গেল জরিমানা আদায় করা হয়। ঢাকাচট্টগ্রাম বৈষম্য না রেখে প্রত্যেক বিভাগীয় শহরে জরিমানার বিষয়টি সমন্বয় করার জন্য পুলিশ কমিশনারের মাধ্যমে জানানো হবে।

কর্ণফুলী নতুন ব্রিজ এলাকায় টার্মিনাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গাড়ি বেড়েছে, কিন্ত রাস্তা বাড়েনি। এখানে নির্দিষ্ট কোনো টার্মিনাল না থাকায় বিভিন্ন স্থান থেকে আসা গাড়িগুলোতে যাত্রী ওঠানামার কারণে মাঝে মাঝে সড়কে শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়। টার্মিনাল গড়ার বিষয়ে পরিবহন মালিকশ্রমিক নেতৃবৃন্দ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও সিডিএ চেয়ারম্যানকে অবগত করতে পারেন। তবে নতুন ব্রিজ এলাকায় অবৈধ মাইক্রো স্ট্যান্ড দেখা গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। সড়কে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যদি কোনো ট্রাফিক পুলিশ সদস্য অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের টিআই (প্রশাসন) অনিল বিকাশ চাকমার সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. আকরামুল হাসান, সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ রানা, টিআই (বাকলিয়া) মো. মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন পূর্বাঞ্চল কমিটির সভাপতি মৃণাল চৌধুরী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রামের সভাপতি মোহাম্মদ মুছা, সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ, শ্রমিক নেতা জানে আলম প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলোডশেডিংয়ে মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে
পরবর্তী নিবন্ধ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ