ধর্ম উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশে এতো মাদ্রাসা, আরবি বিভাগ, কিন্তু আরবিতে খেদমত করার জন্য মানুষ নাই। আমি আরবি বিভাগকে আহ্বান জানাবো, আপনারা শিক্ষার্থীদের আরবির দক্ষতা বাড়ান। কেননা, আরবির শিক্ষার্থীদের জন্য পুরা বিশ্ব খোলা।
গতকাল বুধবার চবি ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে আরবি বিভাগ আয়োজিত আন্তর্জাতিক আরবি ভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আরবি ভাষা পৃথিবীর প্রায় ২৫টিরও বেশি দেশের সরকারি ভাষা। এ ভাষার গুরুত্ব অনেক। ধর্মীয়, অর্থনৈতিক, কূটনীতিক, বাণিজ্যিক, শ্রমবাজার ইত্যাদি বহু ক্ষেত্রে আরবি ভাষার চাহিদা ব্যাপক। যে দেশগুলো ফ্রান্সের কলোনি ছিলো, সেসব দেশে আজও সাহিত্য–সংস্কৃতির ভাষা হিসেবে আরবি গুরুত্বপূর্ণ ভাষা। আরবি বিভাগে যারা পড়েন, তাদের জন্য পুরো বিশ্বের স্কলারশিপের দরজা খোলা। তিনি আরো বলেন, ক্ষমতা ধরে রাখার মানসিকতা এদেশকে পিছিয়ে নিবে। চেয়ারে কেউ একবার বসলে সে আর ছাড়তে চায় না। আমরা তৈরি হয়ে আছি। যেহেতু ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন, নতুন সরকার শপথ নিলেই আমরা বিদায় নিয়ে চলে যাবো। আমাদের মধ্যে কোন দুঃখবোধ নাই।
এসময় ধর্ম উপদেষ্টা চবির আরবি বিভাগের ২৫ জন শিক্ষার্থীকে এককালীন বৃত্তির ব্যবস্থা করে দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা একটা ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্নার করতে চাই। প্রশাসন উদ্যোগ নিলে আমরা অর্থায়ন করবো। আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদারের সভাপতিত্ব এবং বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয় নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. ফরিদুদ্দিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দেন, চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপ–উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল শাহীন খান প্রমুখ।
এসময় আরবি ভাষা ও সাহিত্যে অবদান এবং আরবি শিক্ষায় স্কলারশিপ প্রদান ও আরবি গ্রাজুয়েটদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য চবির আরবি বিভাগের পক্ষ থেকে ৩২ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।












