বিএনপি ক্ষমতায় এলে ভারতের দাদাগিরি বন্ধে বেশি গুরুত্ব দেবে বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বিএনপি যদি জনগণের ভোটে দায়িত্বে আসতে পারে, অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি বেশি গুরুত্ব দেব ভারতের দাদাগিরি বন্ধ করার জন্য। এবার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে গঙ্গা ও ফারাক্কা ব্যারেজের বিষয়গুলো। এ ছাড়া সীমান্ত হত্যাও গুরুত্ব পাবে। বেশি গুরুত্ব পাবে ভারতের দাদাগিরি বন্ধ করা। গতকাল শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীর ওপর নির্মিত রাবার ড্যাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
এ সময় ভারত প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা আমাদের প্রতবেশী দেশ। ইচ্ছে করলেই আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে পারে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত সহযোগিতা করেছিল। তাদের আরও বেশি করে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করা দরকার। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা উল্টো দেখেছি। মোদি সরকার বাংলাদেশকে চাপে ফেলেছেন। সবকিছু নিয়ে গেছেন। কিন্তু আমাদের কিছু দেয়নি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘বাঁচাও পদ্মা, বাঁচাও দেশ, সবার আগে বাংলাদেশ’ এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে আয়োজিত গণসমাবেশে যোগ দেন বিএনপির মহাসচিব। পরে বিকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে ‘চলো জি ভাই, হাঁরঘে পদ্মা বাঁচাই’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে অংশ নেন তিনি। সেখানে জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, আপনাদের মানুষ আর বিশ্বাস করে না, তাই আপনাদের ভোটও দেবে না। জামায়াতে ইসলামী ২০০১ সালের নির্বাচনে মাত্র ৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এদেশের মানুষ ধর্মপ্রিয়। ধর্ম, আল্লাহ ও নবীকে ভালোবাসে। কিন্তু ধর্মান্ধ বা সাম্প্রদায়িক নয়। আপনাদের মানুষ আর বিশ্বাস করে না, তাই আপনাদের ভোটও দেবে না।
জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানে আপনাদের নেতা মওদুদী বিরোধী–দলে ছিলেন। আর বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের সম্পর্কে জানে। আপনারা শুধু দেশের বিরুদ্ধেই ছিলেন না, আপনারা পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে এদেশের নিরীহ মানুষের ওপর নির্যাতন ও মা–বোনদের সম্মানহানি করেছেন। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, তাই আমাদের ভুল বুঝিয়ে মাথা নোয়াতে পারবেন না।











