ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষাজীবন

মর্জিনা হক চৌধুরী পপি | মঙ্গলবার , ২৯ জুন, ২০২১ at ৬:১৫ পূর্বাহ্ণ

করোনা মহামারিতে এক বছরের বেশী সময় ধরে দেশের প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ রকম গৃহবন্দী হয়ে আছে শিক্ষার্থীরা। থেমে গেছে অনেক শিক্ষার্থীর স্বাভাবিক জীবন। বিশেষ করে স্কুল পর্যায়ে। ক্লাস ও পরীক্ষাসহ পড়ালেখা খুব একটা চাপ না থাকায় দিনের বেশিরভাগ সময়ই মোবাইল বা কম্পিউটারে গেম খেলে সময় পার করছে শিক্ষার্থীরা। কিশোরদের পাশাপাশি এই তালিকায় আছে প্রাথমিকের কোমলমতি শিশুরাও। অল্প বয়সে হাতে হাতে মোবাইল ফোন চলে আসার কারণে তারা তাদের ইচ্ছেমতো এসব ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করছে।
এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন। বিরূপ প্রভাব ফেলছে শিশুকিশোরদের মানসিক ও শারীরিক আচরণে। অনেকেই আবার সারারাত জেগে গেমসের পেছনে সময় ব্যয় করছে। এই গেমস এখন মাদকদ্রব্যের মতো ছড়িয়ে পড়েছে দেশের আনাচে কানাচে। যারা এ গেমসে আসক্ত তারা মানুসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে। জানা গেছে, এম বি শেষ হয়ে গেলে গেম খেলতে না পারলে তারা দুর্ব্যবহার করছে বাবা মায়ের সাথে। এ গেমে আসক্তদের প্রতিটি পরিবার এ মুহূর্তে অনেক আতঙ্কে বসবাস করছে। এ সময়ে স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার কারণে আমাদের নতুন প্রজন্ম বড় ধরনের অন্ধকার পথে চলে যাচ্ছে। এ মুহূর্তে ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে গেমসে আসক্ত হওয়া শিক্ষার্থীরা কি সহজে বেড়িয়ে আসতে পারবে এ থেকে, নাকি এজন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে আমাদেরকে? সময় এসেছে এসব নিয়ে ভাববার। আর গত বছর ১৭ ই মার্চ থেকে বন্ধ কোচিং সেন্টার সহ প্রাক- প্রাথমিক থেকে শুরু করে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর পর ২০২০ সালের এইচ এস সি ও সমমানের পরীক্ষা ছাড়াই প্রথমবারের মতো অটোপাস দেয়া হয়। এর আগে প্রাথমিকের সমাপনী পরীক্ষা ছাড়াই পরবর্তী ক্লাসে ভর্তির অনুমতি দেয়া হয়। চলতি বছরেও এস এসসি ও সমমানের পরীক্ষা গ্রহণ ছাড়াই অটোপাসের কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানা গেছে। কাজেই শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার খুব একটা চাপ নেই। ফলে গেম খেলাকে তারা সঙ্গী বানিয়ে ফেলছে। তাই এসব অনলাইন গেমস বন্ধের জোর দাবী জানাচ্ছি। আর করোনা পরিস্থিতি আরেকটু স্বাভাবিক হয়ে এলে স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে আমাদের বর্তমান প্রজন্মকে বাঁচানো দরকার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রিয়জন হয়ে নয়, প্রয়োজনে
পরবর্তী নিবন্ধআমি এখন হন্যে হয়ে সেই মাকে খুঁজছি