কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার মধ্যে স্থগিত হয়ে যাওয়া পরীক্ষাগুলো ১১ আগস্ট থেকে শুরু করার কথা থাকলেও সেটি হচ্ছে না। সহিংসতায় বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি প্রশ্নপত্র পুড়ে যাওয়ায় পরীক্ষা শুরু করা সম্ভব নাও হতে পারে বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তিনি বলেন, অনেক কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন পুড়ে গেছে। এ অবস্থায় ১১ তারিখ থেকে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না। বুধবার (আজ) পরীক্ষার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে বলে জানান তিনি। খবর বিডিনিউজের।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে দেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে ১৬ জুলাই রাতেই সারা দেশে স্কুল, কলেজ, পলিটেকনিকসহ সব বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ১৮ জুলাইয়ের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়। পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গেলে ১ আগস্ট পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিকের সব পরীক্ষা স্থগিত করে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ৪ আগস্ট থেকে পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই পরীক্ষাগুলোও স্থগিত হয়ে যায়। এরপর ১১ আগস্ট থেকে নতুন সূচিতে পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল।
স্থগিত পরীক্ষাগুলোর নতুন সময়সূচিও প্রকাশ করা হয় গত ১ আগস্ট। ওই সূচি অনুযায়ী এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষাগুলো ৮ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। আর ৯ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছিল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।