ক্লাসে বেঞ্চে ফুল রেখে মিমিকে স্মরণ

জগলুল হুদা, রাঙ্গুনিয়া | শুক্রবার , ৩১ অক্টোবর, ২০২৫ at ৮:৪৪ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ সাবেক রাঙ্গুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সম্পূর্ণা সাহা মিমি ()। স্কুল শিক্ষিকা মায়ের হাত ধরেই প্রতিদিন স্কুলে আসতো। তৃতীয় শ্রেণির ফার্স্ট গার্ল মিমি ছিলো নাচগান, কবিতা আবৃত্তি, পড়াশোনা, সুন্দর হাতের লেখাসবদিক দিয়েই সবার চেয়ে এগিয়ে। ২০২৫ সালে উপজেলা পর্যায়ের নৃত্য প্রতিযোগিতায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছিল এই ক্ষুদে শিল্পী। সবাইকে বলতো, বড় হয়ে মায়ের মতো শিক্ষক হবেন। কিন্তু তা আর হলো না, তার আগেই বুধবার স্কুলে আসার জন্য সকালে গোসলে নেমে পুকুরে ডুবে প্রাণ হারালো এই ছোট্ট মিমি।

বৃহস্পতিবার দিনটি ছিলো অন্যরকম। এ দিন স্কুলে সব শিক্ষার্থীরা এলেও আসেনি মিমি। শ্রেণিকক্ষের নির্ধারিত বেঞ্চগুলোতে সব বাচ্চারা বসলেও একটি বেঞ্চ খালি পড়ে রয়েছে। সেখানে রাখা আছে ফুল। এই ফুল দিয়েই মিমিকে স্মরণ করেছে সবাই। স্কুলজুড়ে নিস্তব্ধতা আর ছোট্ট মিমির জন্য সবার চোখে জল। যেনো কেউ কারো দিকে তাকাতে পারছিলেন না। সারাক্ষণ হাসিমুখে থেকে সবাইকে মাতিয়ে রাখা মিমি যেনো পুরো স্কুলকে নিস্তব্ধতায় ভরে দিয়েছেন। মিমি নেই, তার স্মৃতি মনে করে সবাই তাকে স্মরণ করেছে স্কুলের পুরোটা সময়জুড়ে। কেউ বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, মিমি আর নেই।

জানা যায়, বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মহাজন বাড়ি এলাকার পুকুরে এ ঘটনা ঘটে। সে পার্শ্ববর্তী ৪ নং ওয়ার্ড সুশীল ডাক্তার বাড়ির গার্মেন্টস কর্মী লিটন সাহার মেয়ে। তার মা সুমি সাহাও একই স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। সাধারণত মামেয়ের স্কুলে যাওয়ার সময় এক। কিন্তু বুধবার সকালে একটু ব্যতিক্রম ঘটে। স্কুলে জরুরি কাজ থাকায় মা আগে বেরিয়ে যান। ভেবেছিলেন, মেয়ে গোসল সেরে পরে আসবে। কিন্তু সেই পরে আর হলো না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাঙামাটির রাজবন বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব শুরু
পরবর্তী নিবন্ধগণভোট বিলম্বিত হলে নতুন বাংলাদেশের অভিযাত্রা হুমকির মুখে পড়বে