পার্বত্য চট্টগ্রামের জঙ্গল থেকে ধরে আনা আটটি মুখপোড়া হনুমান ভারতে পাচারের চেষ্টার সময় ঢাকার ওয়ারী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। হনুমানগুলো প্লাস্টিকের ক্রেটে ভরে বস্তা দিয়ে মুড়ে অন্যান্য মালামালের সঙ্গে সাতক্ষীরায় নেওয়ার কথা ছিল। হনুমান উদ্ধারের অভিযানে বনবিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওয়ারি বিভাগের কর্মকর্তারাও অংশ নেন। পরে ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পাচারকারী হিসেবে একটি ট্রাকের চালক ও হেলপারকে ২১ দিন করে কারাদণ্ড, ছয় হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও সাতদিনের কারাদণ্ড দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন ট্রাকচালক রফিকুল ইসলাম (৪৩) ও তার সহকারী রবিউল ইসলাম সোহাগ (৩০)। খবর বিডিনিউজের।
বনবিভাগের বন্যপ্রাণি ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক নিগার সুলতানা বলেন, মুখপোড়া হনুমানগুলো চট্টগ্রাম থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে ঢাকা জেলা প্রশাসন, ডিবি পুলিশ ও বন অধিদপ্তরের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেগুলো উদ্ধার করা হয়।
ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) নুরুল হুদা আশরাফী বলেন, একটি ট্রাকে অন্যান্য মালামালের সঙ্গে হনুমানগুলোকেও তুলে দেওয়া হয়েছিল। এগুলো যাচ্ছিল সাতক্ষীরা। সেখানে পৌঁছানোর পর তাদের সঙ্গে আরেকজনের যোগাযোগ করার কথা ছিল। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এগুলো পাশের দেশে পাচারের চেষ্টা চলছিল। এডিসি নুরুল হুদা বলছেন, ব্যক্তিগত চিড়িয়াখানায় রাখার জন্য এগুলো চড়া দামে বিক্রি হয়। সেজন্য এগুলো পাচার করা হচ্ছিল। উদ্ধার হনুমানগুলোকে গাজীপুর সাফারি পার্কে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।