রামুর দোছড়িতে ব্যাট করা নিয়ে তর্কাতর্কি থেকে মারামারি। মারামারি থামাতে গিয়ে এক খেলোয়াডের ক্রিকেট স্ট্যাম্পের আঘাতে আহত যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হওয়ার দুদিন পর গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত জয়নাল আবেদীন (২৫) এক সন্তানের জনক। তিনি দোছড়ি গ্রামের মৃত মনির আহমদের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী আয়াত উল্লাহ বাবু, দলনেতা মহিউদ্দিনসহ কয়েকজন জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের দোছড়ি দক্ষিণকূল ফকিরা কবরস্থান জানাজার মাঠে ক্রিকেট খেলতে যান একদল কিশোর-যুবক। খেলার শর্ত ভঙ্গ করে অপর দলনেতা সুব্রত দাশ শুভ ব্যাট করতে চান। এতে বাধা দেন প্রতিপক্ষ দলনেতা মহিউদ্দিনসহ কয়েকজন। এ সময় মারামারি শুরু হয়।
মহিউদ্দিন জানান, ঘটনার এক পর্যায়ে ফরিদ আলম চৌধুরী নামের এক যুবক দলনেতা মহিউদ্দিনকে ক্রিকেট স্টাম্প নিয়ে পিটাতে থাকে। এ সময় বাবার কবর জিয়ারত করতে আসা তার জেঠাত ভাই জয়নাল আবেদীন দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ঝগড়া থামাতে চেষ্টা করেন। ওই সময় ফরিদ আলম প্রকাশ চৌধুরী জয়নালকে জোরে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন জয়নাল। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকাল ১০টায় তিনি মারা যান।
এ বিষয়ে সুব্রত দাশ শুভ জানান, ফরিদ আহমদ চৌধুরী তার গড়া শুভ ত্রিকেট একাডেমির সদস্য ছিলেন। উগ্র হওয়ায় তাকে সমিতি থেকে বহিষ্কার করা হয়। তার অভিযোগ, ঘটনার মূল হোতা ফরিদ। তবে নিজেকে নিরপরাধ দাবি করেন ফরিদ আহমদ চৌধুরী।
এদিকে জয়নালের স্বজনরা অভিযোগ করেন, ঘটনা মিটমাট করতে একদল দুর্নীতিবাজ ২ লাখ টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে। এর আগে গত বছর তিতারপাড়ার খেলোয়াড় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হোসেন বলেন, ময়না তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।