নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটে কেন উইলিয়ামসনের উপস্থিতি বিশেষভাবে টের পাওয়া যায় কেবল স্কোরবোর্ডে চোখ রাখা হলে। বড় ইনিংস খেলে দলকে বারবার চাপমুক্ত রাখার কাজটা দারুণভাবেই করে যাচ্ছেন এই কিউই জেন্টলম্যান। ব্যতিক্রম হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে এসেও। বিগ ম্যাচে ঠিকই নিজের জাত চিনিয়েছেন। লাহোরের পিচে করেছেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। রাচিন রবীন্দ্রের সঙ্গে তার ১৬৪ রানের জুটি নিউজিল্যান্ডের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যেকোন উইকেটে সর্বোচ্চ। তবে উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরির মাহাত্ম্য মিশে আছে অন্য এক কীর্তিতে। ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে সবকটি আইসিসি ইভেন্টের নকআউট ম্যাচে পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংস খেলেছেন সাবেক এই কিউই অধিনায়ক। ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৯৫ বলে ৬৭ রানের ইনিংস। ম্যানচেস্টারের ধীরগতির পিচে তার ওই ইনিংস নিউজিল্যান্ডকে এনে দেয় জয়ের ভিত। ২০২৩ সালেও সেই ভারতের বিপক্ষেই বিশ্বকাপের সেমিতে করেছিলেন ৬৯ রান। সেবার অবশ্য দলকে জেতানো হয়নি তার। ২০২১ সালে দলকে উইলিয়ামসন নিয়েছিলেন টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল পর্যন্ত। দুবাইয়ের ফাইনালে খেলেছিলেন ৪৮ বলে ৮৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। যদিও ওই দফায়ও হারের স্বাদ পেয়েছিলেন তিনি ও তার দল। ২০২১ সালে প্রথম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪৯ করেছিলেন উইলিয়ামসন। তবে রানতাড়ায় নেমে চতুর্থ ইনিংসে করেছিলেন ৫২ রান। যেটা নিউজিল্যান্ডকে এনে দেয় তাদের ২য় আইসিসি টুর্নামেন্ট শিরোপা (প্রথমটি ২০০০ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি)। আর গতকাল ২০২৫ সালে এসে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নকআউট পর্বের ম্যাচে এসে পেলেন সেঞ্চুরির দেখা। আগের ৩ আসরে কেবল একবারই শিরোপা পর্যন্ত যেতে পেরেছিলেন উইলিয়ামসন। ক্যারিয়ার সায়াহ্নে এসে আরেকটা শিরোপার জন্য নিশ্চিতভাবেই মুখিয়ে আছেন কিউই এই তারকা।