ক্রিকেটারদের ইয়ো ইয়ো টেস্টে প্রথম শান্ত

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শুক্রবার , ৪ আগস্ট, ২০২৩ at ৭:০৪ পূর্বাহ্ণ

মিরপুরে গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষার কার্যক্রম। ইয়ো ইয়ো টেস্টে ফিটনেসের পরীক্ষা দিতে হয়েছে তাদের। দৌড়ে প্রমাণ করতে হয়েছে নিজেদের। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ব্যস্ততায় বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা ছিলেন না এই পরীক্ষায়। কয়েকদিন আগেই টিটেন খেলে আসা তাসকিন আহমেদ ও মুশফিকুর রহিমও ছিলেন না। সবমিলিয়ে ১৫১৬ জন ক্রিকেটার ইয়ো ইয়ো টেস্ট দেন। পরে এ নিয়ে বিস্তারিত জানান জাতীয় দলের ট্রেনার নিক লি। সব ক্রিকেটারই কাছাকাছি স্কোর করেছেন বলে জানান তিনি। তবে সবচেয়ে বেশি পেয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তার স্কোর ছিল ১৯.৫। লি বলেন, ‘গত ৩৪ দিন আমরা ক্রিকেটারদের কিছু স্ক্রিনিং করেছি। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের দুই মাস আগে এখনই ক্রিকেটারদের ফিটনেসের ব্যাপারে জানার সত্যিকারের শেষ সুযোগ। কিছু তথ্য পাওয়ার পাশাপাশি বিশ্বকাপের জন্য যথাযথভাবে প্রস্তুত করার জন্য ট্রেনিংয়ে কোনো পরিবর্তন আনতে হলে সেটিও দেখার শেষ সুযোগ।’ ‘প্রথম দিন মেডিকেল টিম কিছু ডায়াগনস্টিক করেছে যেমন রক্ত পরীক্ষা, চক্ষু পরীক্ষা, হার্ট স্ক্যান। পরের দুই দিন স্বাভাবিক স্ক্রিনিং করেছেন ফিজিও। ক্রিকেটারদের শরীরে কোনো অসামঞ্জস্য আছে কি না দেখার জন্য।’ ২০২১ সালে বিপ টেস্টের বদলে ইয়ো ইয়ো টেস্ট শুরু করে বাংলাদেশ। ইয়ো ইয়ো টেস্টে খেলোয়াড়দের গতি এবং সহনশীলতা পরীক্ষা করার জন্য ২কিলোমিটার সময়ের দ্রুত দৌড়ের সার্কিট ট্রায়াল নেয়া হয়। এবার ইয়োইয়ো টেস্টের বেঞ্চ মার্ক রাখা হয়েছে ১৮.৫। কেউ কম স্কোর করলেও সেটিকে আনফিট হিসেবে ধরা হয়নি। নিক লি বলেন, ‘আজকে আমরা এই টেস্টিংয়ের পারফরম্যান্স সাইডে নজর দিয়েছি। যেখানে গতি, পাওয়ার, দিক পরিবর্তন, কিছু বডি কম্পোজিশনের পর ইনজার্ন টেস্ট দিয়ে শেষ করেছি। আবহাওয়ার কারণে সুযোগসুবিধা আমাদের হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় ইয়ো ইয়ো টেস্ট ব্যবহার করেছি। যেখানে বিরতি দিয়ে রিপিট শাটল রাউন্ড হয়েছে। টেস্ট যত সামনে এগিয়েছে, তত দ্রুত করতে হয়েছে। গরম ও কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখে এবং তাদের গত কয়েক সপ্তাহ বিরতি ছিল, সব কিছু মিলিয়ে আমি তাদের (ইয়ো ইয়ো টেস্টের) ফলে খুশি। ক্যাম্প যতটা সামনে এগোবে, শ্রীলংকায় যাওয়ার আগে আমরা হয়তো তাদের উন্নতি দেখার জন্য আবার টেস্ট করব। তো এই তো, গত কয়েক দিন এসবই করছি আমরা।’

তিনি বলেন, ‘তথ্যউপাত্তের দিকে না তাকিয়ে, আমার মাথায় যা আছে তা থেকে বলতে পারি, সবার টেস্টের পারফরম্যান্স প্রায় একই রকম ছিল। এখানে এমন ক্রিকেটারও ছিল যারা সামপ্রতিক সময়ে জাতীয় দলের আশপাশে ছিল না অথবা ইনজুরিতে ছিল অথবা দলের বাইরে ছিল। তাদের কিছুটা কম ছিল। তবে সব মিলিয়ে কেউই কম গতিতে ছিল না। সবাই মোটামুটি একই ব্রাকেটে ছিল।’ সামনে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট রয়েছে। সবমিলিয়ে টানা কয়েক মাস খেলার ভেতরে থাকতে হবে ক্রিকেটারদের। এর আগে এই টেস্টকে ফিটনেস পরীক্ষার একটা মঞ্চ হিসেবেই দেখা হয়েছে, এমন জানিয়েছেন নিক লি। তিনি বলেন, ‘এই টেস্টিং দলে সুযোগ পাওয়া বা বাদ পড়ার কোনো অংশ নয়। এটি স্রেফ আমার, ফিজিও, মেডিকেল টিম, নির্বাচক, প্রধান কোচের বোঝার জন্য যে ক্রিকেটাররা কোন অবস্থায় আছে এবং আগামী দুই মাসের মধ্যে তাদের নিয়ে কেমন কাজ করতে হবে। কারও হয়তো অনেক ভালো স্কিল থাকতে পারে, তবে ফিটনেসের দিক থেকে কিছু ঘাটতি থাকতে পারে। এক্ষেত্রে তারা স্কিল ট্রেনিং কিছুটা কমিয়ে ফিটনেসের দিকে মনোযোগ দিতে পারে। যারা ফিজিক্যালি অনেক ফিট, তারা বেশি স্কিল ওয়ার্ক করতে পারে। তো এটি মূলত আমাদের তথ্য দেবে যে, আমরা আগামী ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের অনুশীলন কীভাবে সাজাব।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধতৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগের সমাপনী আজ
পরবর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ১৮.৩১ কোটি টাকা