পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের রাজনৈতিক শীতল সম্পর্কের প্রভাব পড়েছে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ডস লিগে (ডব্লিউসিএল)। প্রতিবেশি দেশটির বিপক্ষে খেলতে চান না ভারতীয় দলের অনেকে। তাই টুর্নামেন্টে দুই দলের প্রাথমিক পর্বের ম্যাচটি বাতিল করা হয়েছে। ৬ দল নিয়ে প্রতিযোগিতাটির দ্বিতীয় আসর হচ্ছে ইংল্যান্ডে। স্বাগতিক ইংল্যান্ড, ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে এই শিরোপার লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। বার্মিংহ্যামে রোববার রাতে এই টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল ভারতের। কিন্তু যুবরাজ সিং, শিখর ধাওয়ান, সুরেশ রায়না, হরভজন সিং, ইরফান পাঠানসহ ভারতীয় ক্রিকেটারদের অনেকেই ম্যাচটি খেলতে রাজি নয়। তাই শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত ২৬ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত ও ডজনের বেশি আহত হন। যার বেশিরভাগই ছিল পর্যটক। এই নৃশংস হামলার দায় পাকিস্তানকে দেয় ভারত। পরে প্রতিবেশী দেশ দুটি কয়েকদিনের যুদ্ধেও জড়ায়। দুই দেশের পরিস্থিতি এখন অবশ্য শান্ত। চলতি বছরই পাকিস্তানের হকি দল ভারতে যাওয়ার কথা রয়েছে। পেহেলগামের ওই ঘটনার পর ভলিবলে দুই দেশের অনূর্ধ্ব–১৬ দল লড়াইও করেছে। তাই ক্রিকেটে ভারত–পাকিস্তানের লড়াই রাখে ডব্লিউসিএল কর্তৃপক্ষও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের আশা ভেস্তে গেছে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে না চাওয়ার কথা বিবৃতি দিয়ে জানান শিখর ধাওয়ান। সেখানে কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন দুই দেশের ‘বর্তমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বিদ্যমান উত্তেজনার’ কথা। ডব্লিউসিএল শুরু হয় গত শুক্রবার। এরই মধ্যে তিনটি ম্যাচ হয়েছে। পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স তাদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন্সকে হারিয়েছে। টুর্নামেন্টে ভারতের প্রথম ম্যাচ ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে। আগামী মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলবে যুবরাজ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন দল। আসরে প্রতিটি দল একবার করে পরস্পরের মুখোমুখি হবে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চার দল লড়বে সেমি–ফাইনালে। শেষ চারের লড়াই দুটি হবে আগামী ৩১ জুলাই। এরপর ২ অগাস্ট ফাইনাল দিয়ে পর্দা নামবে আসরের। টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে ভারত ও পাকিস্তানের মুখোমুখি লড়াই পড়লে পরিস্থিতি কী হয়, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।