চট্টগ্রাম শহরের জামালখান এলাকা। ভোরে প্রাতঃভ্রমণ শেষে বাসায় ফিরছিলাম। হঠাৎ রাস্তার পাশে মাংসের দোকানে আধবয়সী ভদ্রমহিলা ও মাংসের দোকানির কথোপকথন নজরে এলো। দেখলাম ভদ্রমহিলা দোকানির দোকানে থাকা কাটা এক টুকরা মাংস কিনতে চাইছে। কিন্তু দোকানি দিতে চাইছে না। মুখমণ্ডল ঢাকা ভদ্রমহিলাকে জিজ্ঞাস করলাম কি হয়েছে? উনি বললেন আমার স্বামী নেই। তাই ভালোমন্দ সবসময় খাওয়া হয় না। আমার আট বছরের সন্তান আজ ছাগলের মাংস খেতে চেয়েছে। সন্তানের আবদার রক্ষা করতে মাংস কিনতে এসেছি। আমার কাছে সবমিলিয়ে ২০০ টাকা আছে। আমি বলেছি ২০০ টাকার সমপরিমাণ মাংস দিতে। কিন্তু দোকানি বলছে ৫০০ গ্রামের নীচে দেওয়া যাবে না। আমি দোকানিকে জিজ্ঞেস করলাম মাংস দিচ্ছেন না কেনো? দোকানি বললো আমি ৫০০ গ্রামের নীচে মাংস বিক্রি করবোনা। উনি ১৫০ গ্রাম মাংস কিনতে চাইছে। আমি বললাম দিলে অসুবিধে কোথায়? উনার ৫০০ গ্রাম কেনার সামর্থ্য নেই, যা টাকা আছে সে পরিমাণ মাংস দিয়ে দিন। দোকানি আমার উপর রেগে গেলো এবং বললো আপনার বেশী মায়া হলে বাকী টাকা আপনি দিয়ে মাংস কিনে দিন। ভাবছি আমরা মানুষ হবো কবে? দোকানির অন্তত শিশুটির কথা চিন্তা করে ভদ্রমহিলার আবদার মেনে নিতে পারতো। এবিষয়টি আমার খুব কষ্ট লেগেছে। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজারে যাদের ক্রয়ক্ষমতা নেই এবং যার কাছে যত টাকা আছে সে পরিমাপে পণ্য কিনতে পারবে না কেন?