নিজ ভূমি রাখাইনে ফেরার দাবিতে উখিয়া ক্যাম্পে এবার রোহিঙ্গা নারীদের সমাবেশ হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মিয়ানমার নাগরিক (এফডিএমএন) কমিটির আয়োজনে কুতুপালং লম্বাশিয়া ১ ইস্ট ক্যাম্পে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রথমবারের মতো উখিয়া–টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বিভিন্ন বয়সী শত শত রোহিঙ্গা নারী এ সমাবেশে যোগ দেয়। এবার বিপুলসংখ্যক নারীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভিন্নমাত্রা পেল রোহিঙ্গাদের এই আন্দোলন। এর আগেও প্রত্যাবাসনের দাবিতে হয়েছে ঘরে ফেরা কর্মসূচিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান। এ সময় তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মর্যাদার সঙ্গে স্বদেশে ফেরাতে বাংলাদেশ সরকার কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।’
তিনি সমাবেশের প্রশংসা করে আরও বলেন, ‘বিশ্বায়নের এই সময়ে নারীর ক্ষমতায়নের বিকল্প নেই। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হওয়া সত্ত্বেও রোহিঙ্গা নারীরা প্রচলিত প্রথা ভেঙে এখানে জড়ো হয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।’
সমাবেশে ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নারীনেত্রী রশিদা খাতুন বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ, তারা আমাদের আশ্রয় দিয়েছে। তবে এই আশ্রিত জীবন আর চাই না, ফিরতে চাই নিজেদের প্রিয় আরাকানে। আমরা মায়ের জাত, নিজেদের সন্তানদের নিজস্ব সংস্কৃতিতে গড়ে তুলতে চাই। আয়োজক কমিটির নেতা মোহাম্মদ সৈয়দুল্লাহ বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৫০ শতাংশই নারী। আমরা চেয়েছি, আমাদের বাড়ি ফেরা কর্মসূচিতে তারা যুক্ত হোক এবং আজ সেটাই হলো। ঐক্যবদ্ধ হলে রোহিঙ্গা নারীদের থামানো যাবে না, আজ তারা সেটাই প্রমাণ করেছে।