‘ক্যাপ্টেনস মিডিয়া ডে’তে অধিনায়ক সাকিব

স্পোর্টস ডেস্ক | রবিবার , ১৬ অক্টোবর, ২০২২ at ৬:২০ পূর্বাহ্ণ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ১৬ দলের অধিনায়কদের নিয়ে ‘ক্যাপ্টেনস মিডিয়া ডে’ অনুষ্ঠিত হয়ে টুর্নামেন্টের আগের দিন। যেখানে ১৬ দলের অধিনায়কেরা উপস্থিত থেকে সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। মেলবোর্নের রিজেন্ট থিয়েটারের প্লাজা বলরুমে অনুষ্ঠিত হয় অধিনায়কদের নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন। ৮ জন করে মোট দু’টি ভাগে ১৬ দলের অধিনায়ক হাজির ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে কখনওই সব দলের অধিনায়কদের নিয়ে এমন অনুষ্ঠান দেখা যায়নি। এবারই এমনটা হলো প্রথমবার। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান হাজির হয়েছিলেন রোহিত শর্মা, বাবর আজমদের সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বে। হালকা মেজাজের এই অনুষ্ঠানে ভারত এবং পাকিস্তানের দুই অধিনায়ককেই বেশিরভাগ প্রশ্ন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রায় শেষ দিকে সাকিবকে প্রশ্ন করেছিলেন সঞ্চালক। এশিয়া কাপের পর নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলে অস্ট্রেলিয়ায় পা রেখেছে বাংলাদেশ। দু’টি টুর্নামেন্টেই দল নিয়ে নানা পরীক্ষানিরীক্ষা এবং পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে ওপেনিং জুটিতে। তবে এশিয়া কাপ থেকে ত্রিদেশীয় সিরিজ-বড় দলের বিপক্ষে সাফল্যের দেখা পায়নি সাকিবের দল। সঞ্চালক সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে সাকিবের কাছে জানতে চান, এ বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছ থেকে কেমন খেলা প্রত্যাশা করা যায়, খেলার ধরনই বা কেমন হবে? মঞ্চে অধিনায়কদের কাতারে ডান কোনায় বসা সাকিব মুচকি হেসে উত্তর দেন, ‘আমাদের দলটা রোমাঞ্চকর। বেশিরভাগই নতুন। এটা তাদের জন্য দারুণ অভিজ্ঞতা হবে। আমরা সবাই অস্ট্রেলিয়ায় প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলব।’ বাংলাদেশ অধিনায়ক এরপর দলের প্রস্তুতি নিয়ে বলেছেন, ‘আমরা খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। ক্রাইস্টচার্চে আমরা খুব ভালো দু’টি দলের বিপক্ষে চারটি ম্যাচ খেলেছি। অস্ট্রেলিয়ায় ভালো করতে গেলে কী করণীয়, সেটা আমরা এখন জানি। ভালো করতে পর্যাপ্ত প্রস্তুতিও আছে আমাদের।’ সঞ্চালক এর পর একটু মজাও করলেন সাকিবের সঙ্গে। চোখেমুখে বিস্ময় নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ককে বলেন, দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলতে এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ায়? সাকিবের জবাবটাও ছিল রসিকতাপূর্ণ, ‘হ্যাঁ, আর আমি ১৫ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি!’ বিগ ব্যাশের সুবাদে অস্ট্রেলিয়ায় ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ খেলেছেন সাকিব। কিন্তু দেশের হয়ে এই সংস্করণে কখনও অস্ট্রেলিয়ায় খেলা হয়নি। শুধু সাকিব কেন, আসলে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এর আগে কখনও টি-টোয়েন্টি খেলেনি বাংলাদেশ দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তাই তাদের কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউপ-আঞ্চলিক স্কুল ও মাদ্রাসা ফুটবলে ঘাগড়ার শিরোপা অক্ষুণ্ন
পরবর্তী নিবন্ধজাতীয় যুব হকির চট্টগ্রাম ভেন্যুর উদ্বোধন