নগরীর অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালে ক্যান্সার রোগীর মানসিক, শারীরিক ও আত্মিক প্রশান্তিসহ মৃত্যুর শেষ সময় পর্যন্ত পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে অনকো–প্যালিয়েটিভ কেয়ার ইউনিট। গতকাল দুপুরে ফিতা কেটে এই ইউনিটের উদ্বোধন করেন অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও দৈনিক আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাফিদ নবী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ড. অনান্থ এন রাও, ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. ভাস্কর চক্রবর্তী, চিফ কার্ডিয়াক সার্জন ডা. মো. জিয়াউর রহমান, নবজাতক ও শিশু রোগ বিভাগের প্রধান ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. ফয়সাল আহমেদ, হেমাটো অনকোলজির সিনিয়র কসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. একেএম রেজাউল করিম, অ্যানেস্থেশিয়ার সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. মাসুদ আহমেদ, কার্ডিয়াক অ্যানেস্থিশিয়ার কনসালটেন্ট ডা. সুমন শিকদার ও হাসপাতালের চিফ মার্কেটিং অফিসার অমিতাভ ভট্টাচার্র্য্য প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. ভাস্কর চক্রবর্তী বলেন, ক্যান্সার রোগের ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায় থেকে চারটি পর্যায় থাকে। শেষ পর্যায়ের রোগীর ক্ষেত্রে যাদের চিকিৎসা করা যায় না, তাদের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃত একটি চিকিৎসা পদ্ধতি হলো– প্যালিয়েটিভ কেয়ার বা প্রশমন চিকিৎসা সেবা। এই সেবার মূল লক্ষ্য রোগী সুস্থ করা নয়। ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধির শেষ দিকে এসে রোগী শারীরিক, মানসিক, আর্থিক ও পরিবারের সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হন। এসব রোগী শেষ পর্যায়ে এসে শরীরে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। রোগীদের ব্যথা উপশম এবং মানসিকভাবে তাদের প্রশান্তি রাখার জন্যই সাপোর্টিভ ট্রিটমেন্ট পদ্ধতির অংশ হিসেবে অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো প্যালিয়েটিভ কেয়ার চালু করা হয়েছে। আমাদের স্পেশাল সাপোর্টিভ টিম সার্বক্ষণিক তাদের পাশে থেকে মেডিটেশন থেকে শুরু করে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করবে। বলা যায়, রোগীর শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আমাদের টিমের সদস্যরা নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে যাবেন। এ ধরনের রোগীদের দীর্ঘ সময় হাসপাতালে থাকতে হয়, সেজন্য অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালে সাশ্রয়ী মূল্যে কিছু প্যাকেজ রাখা হয়েছে। যাতে তারা আর্থিক দিক থেকেও চিন্তামুক্ত থাকতে পারেন।
অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও দৈনিক আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক বলেন, অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালে আমরা অনকো প্যালিয়েটিভ কেয়ার সার্ভিসের যাত্রা শুরু করেছি। চট্টগ্রামবাসীকে বিশ্বমানের সেবা দেয়ার যে অঙ্গীকার আমরা করেছি, সেই ধারাবাহিকতায় নতুন নতুন সেবা ও ইউনিট চালু করছি। আমরা চাই চট্টগ্রামের মানুষ যেন চিকিৎসা সেবার জন্য ঢাকা কিংবা দেশের বাইরে আর দৌঁড়ঝাপ না করেন। আসলে ক্যান্সারের রোগী শেষ পর্যায়ের দিকে খুব কঠিন সময় পার করেন। শেষ সময়টাতে তারা যাতে চিকিৎসার পাশাপাশি সব ধরনের শারীরিক ও মানসিক সাপোর্ট পান, সেজন্য আমরা এই সেবা চালু করেছি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, ক্যান্সার চিকিৎসা ব্যয়বহুল একটি চিকিৎসা। সেই চিন্তা থেকেও আমরা বেশ কিছু সাশ্রয়ী প্যাকেজ রেখেছি।