ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত স্কুল শিক্ষিকা রঞ্জু দেবনাথ বাঁচতে চান। চিকিৎসক বলেছেন যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা করাতে। নয়তো পরবর্তীতে এটি আরো ছড়িয়ে মৃত্যুঝুঁকি বাড়াবে। এখন যে পর্যায়ে আছে তাতে চিকিৎসায় সুস্থ হওয়া সম্ভব; যদিও চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল। কিন্তু এই ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসা করানোর মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই সাধারণ পরিবারের এই শিক্ষিকার পরিবারের। তাই সমাজের বিত্তশালী হৃদয়বান মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
শিক্ষিকা রঞ্জু দেবনাথ ফটিকছড়ির একটি কেজি স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা। স্বামী চট্টগ্রাম কোর্টে অস্থায়ী কর্মচারী হিসেবে কিছুদিন চাকরিতে থাকলেও বর্তমানে চাকরিহীন। ক্যান্সারে হানা দেওয়া রঞ্জুর তিন বছর বয়সী পুষ্পা নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। চারমাস আগে তার দ্বিতীয় সন্তানটি মারা যায়। সন্তানের শোক ভুলতে না ভুলতেই ক্যান্সার ভয়ংকর রূপে হাজির হলো। ২০০৮ সালে তার বাবাও খাদ্যনালীর ক্যান্সারে মারা যান। তার শ্বশুর ২০২২ সালে ফুসফুসের ক্যান্সারে মারা যান। সন্তানের জন্য বাঁচতে চান রঞ্জু। এ পৃথিবীর আলো–বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে চান। সমাজের বিত্তশালীরা এগিয়ে এলে হয়তো তিন বছর বয়সী পুষ্পা তার মায়ের আদর স্নেহ পাবে। মানুষের সম্মিলিত শক্তি অনেক অসাধ্য সাধন করতে পারে। আওতার ভিতরে থাকা ক্যান্সারকে পরাজিত করে একজন মা তার সন্তানের জন্য জিতে যাক। যে কোনো সহৃদয় ব্যক্তি সমাজে আলো ছড়ানো একজন শিক্ষকের চিকিৎসায় সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসলে শিক্ষিকা রঞ্জু দেবনাথ হয়তো ক্যান্সারকে জয় করে স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে পারে। যে কেউ চাইলে তার পরিবারের মোবাইল নম্বরে ০১৮৫৫–২৪৫৯৩৯ (বিকাশ ও নগদ) সহযোগিতা পাঠাতে পারবেন।