‘রিং পার্টিকেল অ্যাক্সিলারেটর’ বা মেডিকেল সাইক্লোট্রন হল ক্যান্সার মোকাবেলায় ইরানের একটি বৈজ্ঞানিক প্রকল্প। এর নকশা এবং নির্মাণ কাজ তেহরানের আমির–কাবির বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্সিলারেটর এবং অ্যাপ্লিকেশন গবেষণাগারে এখনো চলছে। এই অ্যাক্সিলারেটরগুলো হাসপাতালগুলোতে ইনস্টল করা হয় এবং টিউমারের রোগীরা এই ডিভাইস থেকে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হন। এই ডিভাইসটি (পিইটি) ইমেজিংয়ের জন্য ক্যান্সার শনাক্তকরণের ওষুধের প্রস্তুতকারক, যা সেরা ইমেজিং পদ্ধতিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত। খবর বাসসের।
ইরানের ‘মেহের’ বার্তা সংস্থা গতকাল এই খবর জানায়। ক্যান্সারের ওষুধ সরবরাহের জন্য গমের গ্লুটেন থেকে ন্যানোফাইবার তৈরি করা হচ্ছে। গমের আটা থেকে তৈরি ন্যানোফাইবার ব্যবহার করে ইরানের একদল গবেষক ক্যান্সার–বিরোধী ওষুধ (বিশেষ করে স্তন ক্যান্সার) সরবরাহ এবং কেমোথেরাপির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কমানোর একটি নতুন উপায় আবিষ্কার করেছেন। স্তন ক্যান্সার কোষের ওপর ইরানি এই গবেষকদের পরীক্ষার ফলাফলে (এমসিএফ–৭) দেখানো হয়েছে যে ডক্সোরুবিসিন ধারণকারী গ্লুটেন ন্যানোফাইবারগুলো এই কোষগুলোর বৃদ্ধি রোধে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। প্রকৃতপক্ষে, এই পদ্ধতিটি শিরায় ইনজেকশন ছাড়াই ক্যান্সারজনিত টিস্যুতে সরাসরি ওষুধ সরবরাহের জন্য একটি ন্যূনতম আক্রমণাত্মক বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। গত বছর ইরানের ন্যানো পণ্য ৫০টি দেশে রপ্তানি করা হয়েছিল, যার ৪০ শতাংশ ছিল ৫টি দেশে: ইরাক, সিরিয়া, ভারত, চীন এবং তুরস্ক।
উন্নত ন্যানোকোটিং ব্যবহার করে ইরানি পণ্যের প্রতিযোগিতামূলকতা বৃদ্ধি, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইরানের নতুন অস্ত্র হিসেবে ‘রিং পার্টিকেল অ্যাক্সিলারেট’, ইরানের তৈরি ন্যানো–প্রোডাক্টের রপ্তানি বৃদ্ধি, ক্যান্সারের ওষুধ সরবরাহের জন্য গমের গ্লুটেন থেকে ন্যানোফাইবার উৎপাদন, ইরানের ন্যানো প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সর্বশেষ খবর ইত্যাদি এই নিউজ প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
২০১০ সাল থেকে ইরানে ন্যানোকোটিং শিল্পের বিকাশের ফলে বিভিন্ন পণ্যের জন্য বিভিন্ন ধরণের আবরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মান উন্নত করার পাশাপাশি এইসব প্রযুক্তি পণ্যের উৎপাদন খরচ কমাতেও সাহায্য করেছে। বর্তমানে, ইরানের বেশ কয়েকটি কোম্পানি ভৌত বাষ্প জমা (পিভিডি) পদ্ধতি ব্যবহার করে ন্যানোকোটিং ডিভাইসের নকশা এবং উৎপাদনের কাজ করছে। ন্যানোকোটিং প্রযুক্তি বিভিন্ন পণ্যের মান এবং স্থায়িত্ব উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আন্তর্জাতিক বাজারে ইরানি পণ্যের অবস্থান উন্নত করেছে।