বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারদের মধ্যে আন্তঃক্যাডার বৈষম্যের প্রতি অসন্তোষ দিন দিন বাড়ছে। ফলে বৈষম্য নিরসনসহ প্রাপ্য দাবি আদায়ে তারা সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন। শিক্ষা ক্যাডাররা অন্যান্য ক্যাডারদের সাথে একইভাবে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেলেও তাদের সুকৌশলে প্রত্যেকটি জায়গা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। অথচ একটি দেশের জাতি গঠনে শিক্ষকরাই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখেন। শিক্ষা ক্যাডারদের নির্দিষ্ট সময়ে পদোন্নতি না পাওয়া, চাকরির স্থায়ীকরণ না করা, প্রাপ্ত সম্মান ও মর্যাদা না দেওয়া, অবকাঠামো সুবিধা না দেওয়াসহ নানা প্রকার বৈষম্যমূলক বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে। এই চলমান বৈষম্যের ব্যবস্থাকে এখনই ঢেলে সাজানোর সময় এসেছে। আন্তঃক্যাডার বৈষম্যের ফলে অনেকে ক্যাডার পরিবর্তন করছেন। তাছাড়া নতুনদের এই পেশার প্রতি আগ্রহ কমে যাচ্ছে। এখনই যদি এই বৈষম্য রোধ করা না যায় তবে একদিন এই শিক্ষা ক্যাডারের অস্তিত্ব হারিয়ে যাবে। সব পেশার সমান সুযোগ–সুবিধা নিশ্চিত করে সবার জন্য সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ তৈরি করা উচিত। বিসিএসের মতো তুমুল প্রতিযোগিতাপূর্ণ চাকরির পরীক্ষায় যারা মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ক্যাডার মনোনয়ন হচ্ছে তাদের মধ্যে যেন আন্তঃক্যাডার বৈষম্যের মত কোনো দেয়াল না থাকে সেটার নিশ্চয়তা সরকারকে দিতে হবে। ক্যাডার বৈষম্য নিরসন করা এখন সময়ের দাবি এবং সকল ক্যাডারের যোগ্য মর্যাদা বৃদ্ধি করতে হবে। সর্বোপরি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দ্রুত নিরসন করা উচিত।
নুসরাত জাহান মুক্তা
শিক্ষার্থী, সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম।