সৌদি আরবের বিপক্ষে হার দিয়ে আসর শুরুর পর সমর্থকদের চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল আর্জেন্টিনা। তাই গ্রুপের শেষ দুই ম্যাচে বাদ পড়ার শংকা নিয়েই খেলতে হয়। কিন্তু আলবিসেলেস্তেরা বেশ সহজে সেই দুর্গম পথ জয় করে। শুধু তাই নয় শেষ ষোলো রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে আর্জেন্টিনা এখন কোয়ার্টার ফাইনালে। এখন কোয়ার্টারে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। অস্ট্রেলিয়ার পুরো ম্যাচে দাপট দেখালেও শেষ মুহূর্তে কিছুটা ঢিলেঢালা ভাবে খেলে আলবিসেলস্তেরা। গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস সতর্ক না থাকলে হয়তো সমতায় ফিরত অস্ট্রেলিয়া।
পেনাল্টি এরিয়া থেকে কুয়োলের শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন মার্তিনেস। তাছাড়া খুব একটা ভোগেনি আর্জেন্টিনা। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক লিওনেল মেসি বলেন, নিয়ন্ত্রিত এক ম্যাচ ছিল। আমার মনে হয় আমরা ম্যাচটি শেষ করতে পারতাম। মার্তিনেসের সেই সেভটি বাদ দিলে সম্ভবত আমরা খুব একটা ভুগিনি। এটি খুবই শারীরিক এক ম্যাচ ছিল। জয় এবং আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়ায় খুবই খুশি আমি।
সেই সেভ নিয়ে মার্তিনেস বলেন, এটি আমার প্রথম বিশ্বকাপ। চেষ্টা করছি সেরাটা দেওয়ার। আমি মাঠে শান্ত আছি এবং এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আজ আমরা সংগ্রাম করেছি। তারা খুবই শক্তভাবে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। অদ্ভুতভাবে গোলটি পেয়ে যায় এবং তা মেনে নেওয়া কঠিন ছিল আমাদের জন্য। মেসির ব্যাপারে মার্তিনেস বলেন যখন প্রয়োজন হয় মেসি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয় এবং তাকে অবশ্যই আমাদের সাহায্য করা উচিত।
এদিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই শেষে নিজের ভাবনা জানিয়েছেন ডিফেন্ডার ক্রিস্টিয়ান রোমেরো। তিনি বলেন এই ম্যাচ জয়ের আনন্দ অনেক। প্রতিপক্ষ বিবেচনায় আমরা কিছুটা ভুগেছি। কিন্তু নিজেদের চরিত্র, খেলা ও ব্যক্তিত্ব আমরা তাদের দেখিয়েছি। আমি এই দল নিয়ে খুশি।
যেকোনো কিছুই হতে পারে। কিন্তু আমরা দেখিয়েছি, সবসময়ই নিজেদের সেরাটা দেবো। এবারের বিশ্বকাপে যাওয়া প্রসঙ্গে রোমেরো বলেন আমাদের একটি তরুণ দল আছে। আমরা আমাদের জীবন দিয়ে দেবো। কোনদিন খেলছি তাতে কিছু যায় আসে না। সব সময় তৈরি থাকবো। প্রতিটি ম্যাচকেই আমরা ফাইনাল হিসেবে খেলছি। আমরা প্রতিটা ম্যাচ জিততে চাই।