নগরীর রিয়াজ উদ্দিন বাজারে একটি কোল্ড স্টোরেজে প্রায় ১০০ টন প্যাকেটজাত খেজুর মজুদ পাওয়া গেছে। গত বছরের আগস্ট/সেপ্টেম্বর থেকে বেশ কয়েকজন আমদানিকারক ও পাইকারি বিক্রেতা এসব খেজুর মজুদ করেছে। গতকাল জেলা প্রশাসনের অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে প্রতীক দত্ত বলেন, রমজানকে সামনে রেখে কোনোভাবেই বাজার অস্থিতিশীল হতে দেওয়া হবে না। এসব বিবেচনায় নিয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে একটি কোল্ড স্টোরেজে প্রায় ১০০ টন খেজুর মজুদ পেয়েছি। একপর্যায়ে মজুদকৃত খেজুরের কর্তৃপক্ষকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে এসব খেজুর বাজারে ছেড়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছি। অন্যথায় খেজুরগুলো জব্দ করে নিলামে বিক্রি করে দেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, রিয়াজ উদ্দিন বাজারের পাশাপাশি গতকাল নগরীর বৃহত্তম ফল মার্কেট ফলমণ্ডিতেও অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময় মূল্য তালিকা না থাকা ও ক্রয় বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ না করায় সাফা মারওয়া ড্রাই ফ্রুটসকে ৫ হাজার টাকা এবং আরোবা এন্টারপ্রাইজকে ১০ হাজার টাকা এবং আলী জেনারেল স্টোর নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ২৮৫০ টাকায় খেজুর কিনে ৪১৫০ টাকায় খেজুর বিক্রির দায়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং সতর্ক করা হয়।
জেলা প্রশাসনসূত্র আরো জানায়, রিয়াজ উদ্দিন বাজারে গতকাল পৃথক আরো একটি অভিযান চালানো হয়েছে। এতে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জসিম উদ্দিন। তিনি মূল্যতালিকা না থাকা, নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি এবং ক্রয় বিক্রির রশিদ সংরক্ষণ না করার দায়ে দুইজন ফল ব্যবসায়ীকে ৮ হাজার টাকা, একজন খেজুর ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা এবং ৩ জন গরুর মাংসের ব্যবসায়ীকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
অভিযানে কোতোয়ালী থানা পুলিশের একটি টিম সহযোগিতা করেন উল্লেখ করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জসিম উদ্দিন আজাদীকে বলেন, এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।