নগরীর কোর্ট হিলে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় একটি খতিয়ান জাল–জালিয়াতি চক্রের দুই সদস্যকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে আইনজীবী সমিতি। তাদের কাছ থেকে তিনশর বেশি খতিয়ান, ১০টির উপর সিলসহ নানা সামগ্রী উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুজন হলেন, ওমর গণি ও জয় কান্দি দে। গতকাল কোর্ট হিলের একটি দোকান থেকে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হচ্ছে জানিয়ে গতকাল রাত ১১টায় চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সহ–সাধারণ সম্পাদক ও টাউট উচ্ছেদ কমিটির প্রধান মো. কাশেম কামাল আজাদীকে বলেন, গ্রেপ্তার দুজনসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তারা হাটহাজারী, আনোয়ারা ও রাউজানসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। তিনি বলেন, আসামিরা নিজেদেরকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী পরিচয় দিয়ে জেলা প্রশাসক ও কোর্ট বিল্ডিংয়ে আগত সাধারণ মানুষের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতারণা করে আসছিল। এ বিষয়ে আমাদের সমিতির কাছে ভুক্তভোগীরা নানা সময় অভিযোগ করেছেন। আমরা প্রতারক চক্রকে পর্যবেক্ষণে রেখেছিলাম। এরই ধারাবাহিকতায় টাউট উচ্ছেদ কমিটি উক্ত অভিযান পরিচালনা করেছে বলেও জানান তিনি।
আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে খতিয়ান, সিল ছাড়াও প্রতারণার কাছে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, পেনড্রাইভ, কীবোর্ডও জব্দ করা হযেছে। পলাতক আসামি তারেক, সুলতান, আরিফসহ আসামিরা মিলে জেলা প্রশাসকের রেকর্ডরুম শাখার লিংক দিয়ে রেকর্ডরুম শাখার ওয়েব সাইডে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে খতিয়ানের সহিমুহুরী নকল প্রিন্ট করেন। এরপর নকল শাখার দায়িত্বরত বিভিন্ন কর্মকর্তা, কর্মচারীর স্বাক্ষর জালিয়াতি করে লক্ষ লক্ষ টাকার খতিয়ান বিক্রি করে আসছিলেন।