কোর্ট হিলে থাকা সাড়ে তিনশর মতো অবৈধ স্থাপনা পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান। সম্প্রতি ভারী বর্ষণে কোর্ট হিলের কয়েকটি পয়েন্টে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এ সব পয়েন্ট গতকাল বিকালে পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান সহ বিশেষজ্ঞ টিম। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। জেলা প্রশাসক বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরে যান এবং সেখান থেকে আইনজীবীদের পাঁচটি ভবনও পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক বলেন, ভারী বর্ষণের সময় এ পাহাড়ের তিন-চারটি পয়েন্টে ধস হয়েছে এবং আরো বেশ কয়েকটি জায়গায় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের সমন্বয়ে আজ আমরা এটি দেখেছি। যেখানে যেখানে ধস হয়েছে এবং ধসের সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলোতে আমরা প্রটেকশন দিব। আইনজীবীদের ভবন বিষয়ে তিনি বলেন, আইনজীবীদের ভবনগুলো কতটুকু ঝুঁকিপূর্ণ এবং কত জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে, কতটুকু জায়গায় স্যুয়ারেজ লাইনের পানিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের জায়গা সয়লাব হচ্ছে তা খুবই স্পষ্ট। এখানে আমরা যারা আছি সবাই তা দেখেছি।
এই যে ৫ টি ভবন রয়েছে এখানে যারা বাসিন্দা রয়েছে বিজ্ঞ আইনজীবীদেরও আমরা অনুরোধ করব যাতে করে তারা তাদের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন, স্থাপনা যেগুলো রয়েছে, যেখানে ফাটল দেখা দিয়েছে, জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির যেখানে সম্ভাবনা রয়েছে অতি দ্রুত তারা যেন এ গুলো মেরামত এবং সংস্কার করেন। এখানে সাড়ে তিনশর মতো অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। তালিকা করা হয়েছে। যেগুলোকে পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক। পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের যুগ্ম জেলা জজ (নেজারত) খায়রুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কারিগরি টিম, পরিবেশ অধিদপ্তর ও গণপূর্ত বিভাগের টিম।
জেলা প্রশাসন জানায়, ধসে পড়া স্থানসমূহ পরিদর্শন শেষে ফায়ার সার্ভিস, গণপূর্ত বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ দল অতি দ্রুত রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ ও সংস্কারের পরামর্শ প্রদান করেছে। সেই মোতাবেক অতিসত্বর রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে গণপূর্ত বিভাগকে অনুরোধ করা হয়। এ ছাড়াও যৌথ পরিদর্শক দল আইনজীবীদের ভবন বিষয়ে এই মর্মে আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল স্থাপনার কারণে যে কোনো সময় মারাত্মক পাহাড় ধস সহ ভূমিকম্পে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
জেলা প্রশাসন আরো জানায়, পরিদর্শনের সময় জেলা জজ আদালত, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভবনের আশপাশের অবৈধ স্থাপনাসমূহ দ্রুত অপসারণ বিষয়ে নির্দেশনা দেন যুগ্ম জেলা জজ (নেজারত) খায়রুল ইসলাম।