বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনেও দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থায়নে প্রকল্পগুলো সাবলীলভাবে চলমান থাকবে বলে আশা করছে দেশটি। গতকাল শনিবার চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কোরীয় রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (কেইপিজেড) পরিদর্শনে গিয়ে ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং–সিক এই আশা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সম্পৃক্ত হওয়ার চেষ্টা তার দেশের পক্ষ থেকে করার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দূতাবাস আশা করছে, চলমান প্রকল্পগুলো সাবলীলভাবে এগিয়ে যাবে এবং বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় রকমের অবদান রাখবে। বিদেশিদের জন্য ব্যবসা সহায়ক ও স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরিকে অগ্রাধিকার দিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে পরামর্শ দেন পার্ক ইয়ং–সিক।
দীর্ঘমেয়াদে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) করতে চাওয়ার কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, কেবল বাংলাদেশি পণ্যের জন্য বর্তমানে কোরিয়ার বাজারে থাকা অগ্রাধিকার সুবিধার ধারাবাহিকতা হিসাবে নয়, এটা পরস্পরের জন্য লাভজনক দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াবে। খবর বিডিনিউজের।
কেইপিজেডের কার্যক্রম তুলে ধরে কোরিয়ান ইপিজেড করপোরেশনের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর সাদাত বলেন, প্রায় আড়াই হাজার একরের আধুনিক, পরিবেশবান্ধব ইপিজেডে ৪৮টি বিশ্বমানের কারখানা স্থাপন করা হয়েছে, যাতে ৭০ লাখ বর্গফুটের ফ্লোর স্পেস রয়েছে। বর্তমানে তাদের কারখানায় ৩১ হাজার শ্রমিক কাজ করে।
জাহাঙ্গীর বলেন, ১০০ একরের উপর আইটি পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে, যেখানে দুটি ভবনের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। ৫০ একরে আইটি ডেভেলপমেন্ট কমপ্লেঙ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই পার্ক কারিগরি খাতে ২০ হাজার চাকরির সুযোগ তৈরি করবে।