কোরিয়া থেকে কেনা হচ্ছে রেলের ১৫০ কোচ, ২০ ইঞ্জিন

যুক্তরাষ্ট্র থেকে এল ৮ ব্রডগেজ ইঞ্জিন

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৭ মার্চ, ২০২১ at ৬:১৫ পূর্বাহ্ণ

রেলে যাত্রীসেবা বাড়াতে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে কেনা হচ্ছে আরো ১৫০টি মিটার গেজ যাত্রীবাহী কোচ এবং ২০টি মিটার গেজ ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৪০ টি ব্রডগেজ লোকোমেটিভ (ইঞ্জিন) এর মধ্যে গতকাল শনিবার প্রথম চালানে ৮টি ব্রডগেজ লোকোমেটিভ চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে।
রেলওয়ের মেকানিক্যাল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আগামী জুন থেকে কোচগুলো ধাপে ধাপে আসতে থাকবে। পুরনো ১৫০টি মিটার গেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ প্রতিস্থাপনের পাশাপাশি নতুন ট্রেনও চালু হবে এই কোচগুলো আসলে। মিটার গেজ যাত্রীবাহী কোচ এবং ইঞ্জিনগুলো পূর্বাঞ্চলেই ব্যবহার করা হবে।
জানা যায়, বাংলাদেশ রেলওয়েতে পূর্বাঞ্চলে সব মিটারগেজ। পশ্চিমাঞ্চলে চলে ব্রডগেজ। মিটার গেজ কোচ এবং ইঞ্জিনগুলো আসলে পূর্বাঞ্চলে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি যাত্রীসেবার মান আরও বাড়বে। রেল ভবন থেকে জানা গেছে, গত বছর ডিজেল ও বিদ্যুৎ শক্তিচালিত ২০টি মিটার গেজ লোকোমোটিভ ইঞ্জিনের ব্যাপারে চুক্তি হয়েছে। পরবর্তীতে ১৫০টি মিটার গেজ কোচ আমদানির জন্য চুক্তি হয়। এসব ক্যারেজের মধ্যে একটি কোচ থাকবে বুলেটপ্রুফ। প্রকল্প পরিচালকের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, চুক্তিমূল্য বাংলাদেশি টাকায় ৬৫৮ কোটি ৮১ লাখ ৩০ হাজার ৬৩ টাকা। এ প্রকল্পটি দক্ষিণ কোরিয়ার এঙ্মি ব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। চুক্তি স্বাক্ষরের দিন থেকে ১৮ থেকে ৩০ মাসের মধ্যে কোচগুলো পাওয়া যাবে বলে রেলওয়ের মেকানিক্যাল বিভাগ থেকে গত বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে। কোচ এবং ইঞ্জিনগুলো ধাপে ধাপে আসার সময়ও হয়েছে বলে জানানো হয়।
রেল ভবন থেকে সংশ্লিষ্ট এক প্রকৌশলী আজাদীকে জানান, যাত্রীবাহী ক্যারেজগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে স্টেইনলেস স্টিল বডি, বায়ো-টয়লেট যুক্ত থাকবে, স্বয়ংক্রিয় এয়ার ব্রেকব্যবস্থা, স্বয়ংক্রিয় স্লাইডিং ডোরসহ আধুনিক সুবিধা যুক্ত থাকবে। ১৫০টি কোচের মধ্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্লিপিং বার্থ ৩০টি, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কোচ ৩৮টি, শোভন চেয়ার ৪৪টি, খাবার গাড়িসহ (কোচ) শোভন চেয়ার কোচ ১৬টি, পাওয়ার গাড়িসহ শোভন চেয়ার কোচ ১২টি, রাষ্ট্রীয় পরিদর্শনের জন্য বুলেটপ্রুফ গাড়ি একটি, খাবার গাড়ি একটি, পাওয়ার গাড়ি একটি ও পরিদর্শন কার একটি। রেল মন্ত্রণালয় বলছে, ১৫০টি কোচ সংগ্রহ প্রকল্পের উদ্দেশ্য ক্যারেজের স্বল্পতা দূরীকরণ, আধুনিক, নিরাপদ ও উন্নত যাত্রীসেবা, বর্ধিত চাহিদা মেটাতে নতুন ট্রেন চালু, মিটার গেজ ও ডুয়েল গেজ সেকশনে নিরাপদ ও উন্নত ট্রেন পরিষেবা নিশ্চিত, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান যাত্রী ও মালামাল পরিবহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিষেবা বৃদ্ধি করা।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৪০ টি ব্রডগেজ লোকোমেটিভ (ইঞ্জিন) এর মধ্যে গতকাল প্রথম চালানে ৮টি ব্রডগেজ লোকোমেটিভ চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে। গতকাল শনিবার সকাল থেকে বন্দরের বার্থে ট্রেনের ইঞ্জিন খালাস শুরু হয়। এ ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বোরহান উদ্দিন আজাদীকে জানান, মোট ৫টি লটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৪০টি ব্রডগেজ লোকোমেটিভ আনা হচ্ছে। প্রথম ধাপে ৮টি এসেছে। এগুলো ট্রলিতে করে টঙ্গীতে নিয়ে যাওয়া হবে। ব্রডগেজ লোকোমেটিভ গুলোর সাথে ট্রলিও আনা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে এইচএম স্টিল
পরবর্তী নিবন্ধকারাগার থেকে নিখোঁজ হত্যা মামলার আসামি!