২৭ লাখ বৃক্ষরোপণ করে পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখার পর কোরিয়ান ইপিজেডে ৪০ হেক্টর জমিতে গড়ে তোলা দেশের চতুর্থ বোটানিক্যাল গার্ডেনের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে বোটানিক্যাল গার্ডেনে এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে একটি নাগলিঙ্গম গাছের চারা রোপণ করে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন ও বোটানিক্যাল গার্ডেনের যাত্রা শুরু করেন ইয়ংওয়ান কর্পোরেশন এবং কোরিয়ান ইপিজেডের চেয়ারম্যান ও সিইও কিহাকসাং। কেইপিজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহজাহানের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কিহাকসাং বলেন, তরুণ সমাজ যাতে প্রকৃতি পরিবেশ রক্ষা, বৃক্ষরোপণ ও দুর্লভ বনজ সম্পদ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জন করতে পারে এবং তাদের গবেষণালব্ধ জ্ঞানের মাধ্যমে দেশের পরিবেশ উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে সে উদ্দেশ্যে এই বোটানিক্যাল গার্ডেন গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, এটি শুধু একটি নিছক বাগান হবে না বরং একটি শিল্পাঞ্চলকে টেকসই উপায়ে পরিবেশ বান্ধব শিল্প জোন হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইয়ংওয়ান কর্পোরেশনের এঙিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান এইচ এন লি, ইয়ংওয়ানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ শাহীন উর রহমান, সব্যসাচী চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রির পরিচালক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন, বিএফআরআইয়ের পরিচালক ড. মাহবুবুর রহমান, বোটানিক্যাল গার্ডেনের কনসালটেন্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামাল হোসেন, কেইপিজেড উপমহাব্যবস্থাপক মুশফিকুর রহমান প্রমুখ।
কেইপিজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহজাহান জানান, ইতোমধ্যে ২৭ লাখ বৃক্ষরোপণ করে কেইপিজেডকে পরিবেশ বান্ধব শিল্পজোনে পরিণত করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ৪০ একর জায়গাজুড়ে এই প্রকল্পে সবুজায়নের জন্য বোটানিক্যাল গার্ডেনটি গড়ে তোলা হবে। বর্তমানে এলাকাটিকে ১১টি জোনে বিভক্ত করে আগামী দুই বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দেশি বিদেশি বিলুপ্তি প্রজাতিসহ ৫ শতাধিক প্রজাতির চারা রোপণ করার পাশাপাশি প্রতিটি প্রজাতির আলাদা আলাদা বাগান গড়ে তোলা হবে।
বোটানিক্যাল গার্ডেনের কনসালটেন্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, কেইপিজেডের উদ্দ্যোগে দেশের চতুর্থ বোটানিক্যাল গার্ডেনের যাত্রা শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় এখানে প্রায় ৪০০’র অধিক প্রজাতির গাছপালা ও উদ্ভিদ পাওয়া গেছে। বোটানিক্যাল গার্ডেনটি এ এলাকার পরিবেশ রক্ষা ও বিলুপ্তি প্রজাতির দেশি বিদেশি গাছপালা ও উদ্ভিদ সংরক্ষণে বিরাট ভূমিকা রাখবে। এ গার্ডেনটি দেশের অন্যন্য বোটানিক্যাল গার্ডেনের মত হলেও এটা হবে মডেল গার্ডেন। এটি সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিচালিত হবে। সারা দেশে এটি একটি মডেল বোটানিক্যাল গার্ডেন হিসেবে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।