মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার ৫০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও উৎসবমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস ২০২১ উদযাপন করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় ১৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দেলওয়ার হোসেন জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু করেন।
পরে তিনি দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
এদিন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে চ্যান্সারি ভবনকে বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের বিদেহী আত্মার শান্তি এবং দেশ-জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এরপর দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন।
তারপর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে একটি মুক্ত আলোচনা পর্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
আলোচকগণ স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতার দূরদর্শী নেতৃত্ব, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত আত্মত্যাগ এবং আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এছাড়া তিনি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নির্যাতিতা বীরাঙ্গনাদের অবদানের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং বাংলাদেশের অর্জনসমূহ উপস্থাপন করে তিনি জাতির পিতার সমৃদ্ধ সুখী-সমৃদ্ধ বৈষম্যহীন সোনার বাংলা বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
আলোচনার পরে রাষ্ট্রদূত দেলওয়ার হোসেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দকে সাথে নিয়ে কেক কাটেন।
এসময় উপস্থিত সকলে ঢাকা থেকে সম্প্রচারিত সরাসরি প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পরিচালিত শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদ, জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের জন্য এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।
বাংলাদেশ দূতাবাস পরিবার ও কোরিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশী নাগরিকদের অংশগ্রহণে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।