কোরবানীতে লবণের কৃত্রিম সঙ্কট করলে ব্যবস্থা : ভোক্তা অধিকার

| বৃহস্পতিবার , ৩০ জুন, ২০২২ at ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ

কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণে লবণের বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করলে এবার শুধু জরিমানা নয়, মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার ঢাকার কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এই হুঁশিয়ারি দেন জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে লবণের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখা এবং কাঁচা চামড়ার মান বজায় রাখার লক্ষে এই মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়। খবর বিডিনিউজের।

ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, নিউজের হেডলাইন যেন না হয়, চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণ পাওয়া যাচ্ছে না। এজন্য আমরা কঠোর অভিযান চালাব, আর আমাদের এবারের অভিযান অন্যান্য বছরের চেয়ে কঠোর হবে। ঈদের দিনেও মাঠে থাকার কথা জানিয়ে সফিকুজ্জামান বলেন, নগরে যদি কেউ ক্রাইসিস তৈরি করে, মূল্য বেশি নেয়, তাদের বিরুদ্ধে শুধু ফাইনের মধ্যে নয়, মামলা-মোকদ্দমা করার মাঝেও আমরা যাবো।

তিনি বলেন, লবণের যে মজুদ আছে, ডিভাইড এন্ড সাপ্লাইয়ের যে বিষয়টি, তাতে ঘাটতি হওয়ার কথা না। আমরা দেখেছি যে এত কিছুর প্রস্তুতির মধ্যেও, একদম অন গ্রাউন্ডে, অর্থাৎ যখন চামড়া প্রিজার্ভ (সংরক্ষণ) করতে হবে, সেই সময় এরা দাম বাড়ায়। এই ধরনের কাজ যারা করবে, তাদেরকে আমরা ডিটেইন (আটক) করবো। তিনি জানান, দেশে বছরে লবণের চাহিদা ২৩ লাখ মেট্রিক টন। আর কোরবানির সময় লাগে ৫৫ থেকে ৬০ হাজার মেট্রিক টন।

চামড়া সংরক্ষণে যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়ে সফিকুজ্জামান বলেন, যে ৮০ হাজার বা ১ লাখ টাকা দিয়ে গরুটা কিনেছে, সে যদি ২০০ টাকা খরচ করে ওই কোরবানি স্থানেই চামড়ায় লবণটা মেখে দেয়, তাহলে চামড়াটা সংরক্ষণ করা সহজে সম্ভব। চামড়াটা যেন সংরক্ষণ হয় সেটা আমাদের দায়িত্ব। চড়া দাম পাওয়ার আশায় কোরবানির ঈদের দিনেই ঢাকায় চামড়া আনা বন্ধ রাখার আহ্বানও জানান তিনি।

মতবিনিময়ে বাংলাদেশ চামড়া বণিক সমিতির সভাপতি আফতাব খান বলেন, লবণ ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ করবো, তারাও ব্যবসায়ী, আমরাও ব্যবসায়ী, আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করবো। আমি কারও প্রতি দোষ দিতে চাচ্ছি না। আমার কথা হচ্ছে, রোজার ঈদের সময় লবণের মণ ৯৫০ টাকা ছিল। কোরবানি উপলক্ষে কেন ১ হাজার ১০০ টাকা হল আমি জানি না। তিনি বলেন, গতবার ৫০ থেকে ৫৬ হাজার টন লবণ লেগেছিল। গতবার তাদের হাতে তিন লাখ টন লবণ ছিল বলে বিডিনিউজসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় এসেছে। তাই আমি অনুরোধ করবে যেন, লবণ ব্যবসায়ীরা আমাদের সহযোগিতা করেন। এখন চামড়ার দামটা কম, দাম বেশি থাকলে হয়তো বিষয় ছিল না। এখন চামড়ার দাম কম থাকাতে লবণ একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে দেখা দিয়েছে।

লবণের দাম কমানোর আহ্বান না জানিয়ে বরং চামড়ার দাম বাড়ানোর পরামর্শ দেন লবণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নূরুল কবির। তিনি বলেন, কোরবানি আসছে দেখে ট্যানারি মালিক সমিতি বলছে যে দামটা বাড়তি। কিন্তু লবণের চেয়ে কম দামে বাংলাদেশের কোন পণ্যটা আছে? এর থেকে কম তো আর নাই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাল থেকে ট্রেনে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
পরবর্তী নিবন্ধমাহবুব উল আলম চৌধুরীর নামে হবে লাইব্রেরি অংশের নামকরণ