কোরবানির ত্যাগে জাগ্রত হোক সুন্দর মন সুস্থ সমাজ

আলতাফ হোসেন হৃদয় খান | বুধবার , ২৮ জুন, ২০২৩ at ৭:২৮ পূর্বাহ্ণ

 

 

পবিত্র ঈদুল আযহা কোরবানিকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীদের অসুস্থ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যায়, বিশেষ করে এই সময়ে মশলা জাতীয় পণ্যের দাম আকাশচুম্বী। কোরবানিকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যবসায়ীরা জাল টাকা ছড়িয়ে দেয়। এতে করে অনেকে প্রতারণার শিকার হয়ে নিঃস্ব হয় এবং টাকার লেনদেন ব্যাপকহারে বাড়ার কারণে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্যও বাড়ে। ফলে মানুষের ঈদ আনন্দ ভেস্তে যায়।

কোরবানির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পশু জবাইয়ের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে, মনের পশু ও আমিত্বকে জবাই করা। কবি নজরুল ইসলাম বলেছেনমনের পশুরে কর জবাই/পশুরাও বাঁচে, বাঁচে সবাই। কিন্তু এ কাজটিও করেন কজন! সবাই তো পশু জবাইয়ে ব্যস্ত। এতে কোরবানির যে মূল উদ্দেশ্য তা থেকে সরে যাচ্ছি আমরা।

বিশেষ করে চট্টগ্রামে কোরবান এলেই নতুন বিবাহ হওয়া কনের পরিবার থেকে বরের পরিবার নানা কৌশলে জোর পূর্বক গরুছাগল নেওয়ার অসুস্থ রীতি এখনও প্রচলিত যা সত্যিই নিন্দনীয়। যদি কনের বাপের বাড়ি থেকে গরুছাগল অথবা টাকা দেওয়া না হয় তাহলে সেই নব বধূকে নির্যাতনে ঘটনাও উঠে অনেকে এই লাঞ্ছনা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যাও করে, যা আমরা প্রতিনিয়তই গণমাধ্যমে দেখছি। চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাশাপাশি এই অসুস্থ রীতি ছড়িয়ে পড়ে আরো অনেক জেলায় যা আগামীর জন্য হুমকিস্বরূপ। সমাজের সচেতন মহল ও আইন নির্ধারকদের প্রতি অনুরোধ এসব নিন্দনীয় রীতি বর্জন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক সমাজের এরূপ অসুস্থ প্রতিযোগিতা ও অসংহতি মন থেকে দূর করাই হোক প্রকৃত কোরবানির ত্যাগ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকোরবানি হোক একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য
পরবর্তী নিবন্ধকোরবানির সামাজিকতা