কোরবানির আগেই মসলার দাম নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকারসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। গতকাল রোববার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মসলার বাজার নিয়ন্ত্রণে এখনই সংশ্লিষ্ট সকলের কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করেন তিনি। এ সময় সুজন বলেন, প্রতি বছরই কোরবানি আসলেই সব ধরনের মসলার দাম বৃদ্ধি করার একটি অসাধু প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। সাধারণত কোরবানির ঈদে মসলার চাহিদা বেশি থাকার কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা এর সুযোগ নিতে তৎপর হয়ে উঠে। বর্তমানে ডলারের দাম বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে কোরবানির প্রায় এক মাস আগে থেকেই বাড়ছে রান্নার জন্য অতি প্রয়োজনীয় এসব উপকরণসমূহ। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এলাচের দাম। দুই মাসের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে এ পণ্যটির দাম। অথচ আমরা বাজারে খবর নিয়ে জেনেছি কোরবানির চাহিদারও অতিরিক্ত মসলা ইতোমধ্যে আমদানি করা হয়েছে। তাই ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে মসলার দাম বৃদ্ধির যুক্তিটি পুরোপুরি হাস্যকর। বিশেষ করে কোন পণ্য আমদানি করতে হলে আগে এলসি খুলতে হয়। এরপর শিপমেন্ট হয়। পরবর্তীতে নির্ধারিত পণ্যটি বাজারে আসে। এখন যেসব মসলার দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে তার সবই অনেক আগের আমদানি করা। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির সাথে বর্তমান মসলার দামবৃদ্ধি সম্পূর্ণরূপে অযৌক্তিক। শুধুমাত্র অসাধু ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফা করার মানসিকতার কারণেই এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এর ফলে সব ধরনের ভোক্তাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশংকা প্রকাশ করেন তিনি।