কোরবানির পশু কেনার পাশাপাশি অনেক ক্রেতা এখন ছুটছেন মসলার দোকানেও। যেহেতু কোরবানির বাকি আছে আর মাত্র তিনদিন। তবে এ বছর কোরবানির আগে থেকেই নিম্নমুখী রয়েছে মসলার বাজার। এটি ক্রেতাদের জন্য স্বস্তিদায়ক। সাধারণত আগের বাজারগুলোতে মসলা বিক্রেতারা কোরবানির বাজার চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে দাম বাড়িয়ে দিতেন। তবে এ বছর পর্যাপ্ত আমদানি হওয়ায় মসলার বাজার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গতকাল খাতুনগঞ্জের মসলার বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি দেশি শুকনো মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা, ভারতীয় মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা, শুকনো হলুদ ১৯০–২৩০ টাকা, ভারতীয় জিরা মানভেদে ৩৬০–৬৬০ টাকা, মিষ্টি জিরা ১৬০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ২২০ থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকা, গোলমরিচ ১ হাজার ১৪০ টাকা, ভারতীয় এলাচ ৪ হাজার ২০০ থেকে ৪ হাজার ৬০০ টাকা, দারচিনি প্রতিকেজি মানভেদে ৩৭০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাজীর দেউরি বাজারে কথা হয় ক্রেতা আসিফুল ইসলামের সাথে। তিনি জানান, কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে অন্য বছরগুলোতে মসলার বাজার চড়া থাকলেও এ বছর সেটি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। মূলত পর্যাপ্ত পণ্য আমদানি ও সিন্ডিকেটের কারসাজি বন্ধ হওয়ার কারণে কোরবানির আগেই মসলার বাজার নিম্নমুখী রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের তথ্যমতে, চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত গত ১০ মাসে দেশে প্রায় ১ লাখ ৬৯ হাজার ৮৩৪ টন মশলাজাতীয় পণ্য আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে আছে–৯৯ হাজার ৮৫৮ টন রসুন, এলাচ ১ হাজার ৬১৪ টন, দারচিনি ১০ হাজার ৫৪৩ টন, লবঙ্গ ২ হাজার ১৫৪ টন, জিরা ৩ হাজার ৭০২ টন, পেস্তাবাদাম ৮২৭ টন, কিসমিস ৪ হাজার ৮২৩ টন, শাহী জিরা ২ টন, জয়ত্রি ২৯০ টন, কাবাব চিনি ২ টন, জায়ফল ২৭২ টন, কালোজিরা ৭ টন, গোলমরিচ ১ হাজার টন, মেথি ৭২ টন, আদা ২১ হাজার ১৯ টন, পেঁয়াজ ১৪ হাজার ৬৩ টন, হলুদ ৪ হাজার ৩২৮ টন, শুকনো মরিচ ১৭৯ টনসহ আরও বিভিন্ন পণ্য।