কোরবানিগঞ্জে গৃহবধূকে খুনের মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৮:১২ পূর্বাহ্ণ

নগরীর কোতোয়ালীর কোরবানিগঞ্জের একটি বাসায় ঢুকে মালামাল লুটে বাধা দেওয়ায় গৃহবধূকে খুনের মামলায় মো. সোহেল নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল চট্টগ্রামের ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনিরা এ রায় ঘোষণা করেন।

এ সময় মো. সোহেল কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। মো. সোহেল চন্দনাইশের ইদ পুকুরিয়া এলাকার বাসিন্দা। পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে বিচারক রায় ঘোষণা করেছেন উল্লেখ করে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিহি চক্রবর্তী আজাদীকে বলেন, ৩০২ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মো. সোহেলকে মৃত্যুদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ৩৯৪ ধারার অপরাধও প্রমাণিত হয়েছে। এ জন্য তাকে আরো ১০ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন কোরবানিগঞ্জ এলাকার নিজ বাসায় গৃহবধূ রোকসানা বেগম মনিকে ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয়। এছাড়া, তার ছোট ছেলে আবদুল আজিজকে আহত করা হয়। পালিয়ে যাওয়ার সময় একজন পথচারীকেও ছুরিকাঘাত করেন মো. সোহেল। রোকসানা বেগম আবুল কাশেম নামের খাতুনগঞ্জের এক ব্যবসায়ীর স্ত্রী। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আবুল কাশেম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে তিনি বলেন, খুনি তার স্ত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করেন। মৃত্যুর পর লাশ গুম বা আলামত নষ্টের উদ্দেশ্যে বাসায় আগুন লাগানো হয়। যাওয়ার সময় বাসা থেকে প্রায় ৩৩ লাখ টাকার মালামাল লুট করেন তিনি। আসামির হাতে ছুরি, পিস্তল সদৃশ বস্তু ছিল বলেও এজাহারে উল্লেখ করেন আবুল কাশেম।

আদালতসূত্র জানায়, মামলাটি থানা পুলিশই তদন্ত করে। এজাহারে নাম উল্লেখ না থাকলেও তদন্তের মো. সোহেলের নাম উঠে আসে। গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড যে তিনিই ঘটিয়েছেন তা বের হয়ে আসে। একপর্যায়ে তদন্ত কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। এতে বলা হয়, মো. সোহেল নগদ টাকাফয়সা লুট করতেই আবুল কাশেমের বাসায় অনুপ্রবেশ করেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর মো. সোহেলের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনতুন করে পাহাড় কাটা নয়
পরবর্তী নিবন্ধদলীয় প্রতীক না থাকায় আ. লীগে বাড়তে পারে প্রার্থীর সংখ্যা