এবারের কোপা আমেরিকা কাপে ব্রাজিলের শুরুটা হোঁচট খেয়ে। মাঝখানে দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্তভাবে ফিরলেও গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আবারো বিবর্ন ব্রাজিল। তারপরও এক জয় আর দুই ড্র মিলে ৫ পয়েন্ট শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে ব্রাজিল। আর সেখানে পাঁচবারের বিশ্বকাপ জয়ীরা পেল একেবারেই ইনফর্ম উরুগুয়েকে। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ সময় সকালে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ব্রাজিল ১–১ গোলে ড্র করেছে কলম্বিয়ার সঙ্গে। দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন কলম্বিয়া। আর গ্রুপ রানার্সআপ ব্রাজিল। শেষ আটের লড়াইয়ে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েছে কলম্বিয়া। টানা ২৬ ম্যাচ ধরে অপরাজিত দলটি খেলবে পানামার বিপক্ষে। ক্যালিফোর্নিয়ার লেভি’স স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় ব্রাজিল। সপ্তম মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন ভিনিসিউস জুনিয়র। আর এই কার্ড খাড়ায় কোয়ার্টার–ফাইনালে খেলা হবে না তার। তবে ১২ মিনিটে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। রাফিনিয়ার চমৎকার ফ্রি কিক বাম দিকের পোস্ট ঘেঁষে জাল খুঁজে নেয়। লাফিয়ে বলে হাত ছোঁয়ালেও গতির জন্য জালে যাওয়া ঠেকাতে পারেননি কলম্বিয়া গোল রক্ষক ভার্গাস। ১৯ মিনিটে কলম্বিয়ার রদ্রিগেসের ফ্রি কিকে নিখুঁত হেডে জালে বল পাঠান দাভিনসন সানচেস। তবে অফসাইডের জন্য বাতিল হয় সে গোল। রাফিনিয়ার একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে ২৭ মিনিটে উত্তপ্ত হয়ে উঠে পরিস্থিতি। হলুদ কার্ড দেখেন ব্রাজিলের জোয়াও গোমেস ও কলম্বিয়ার হেফারসন লের্মা। কার্ড খাড়ায় ভিনিসিউসের মতো লের্মারও খেলা হবে না শেষ আটের লড়াইয়ে। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে সমতা ফেরায় কলম্বিয়া। কর্দোবার রক্ষণচেরা পাসে ঠান্ডা মাথায় বল জালে পাঠান দানিয়েল মুনিয়োস। দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম ভালো সুযোগটা পায় কলম্বিয়া। ৫১ মিনিটে রদ্রিগেসের কর্নারে সবার চেয়ে উঁচুতে লাফিয়ে হেড করেন কর্দোবা। তবে একটুর জন্য লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি। আট মিনিট পর একটুর জন্য জালের দেখা পাননি রাফিনিয়া। তার ফ্রি কিক পেরিয়ে যায় দূরের পোস্ট ঘেঁষে। ৬৯ মিনিটে রদ্রিগেসের ক্রসে কর্দোবার হেড ঠেকিয়ে দেন আলিসন। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মন্থর হতে থাকে দুই দলের খেলা। বাকি সময়ে গোলের খুব ভালো কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনো দলই। ম্যাচ জুড়ে রেফারির বেশ কিছু সিদ্ধান্তে অসন্তোষ জানানো ব্রাজিল শেষ বাঁশি বাজানোর পর কর্নারের দাবিতে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে কলম্বিয়ার একজন হেড করে বল মাঠের বাইরে পাঠান। কর্নার না দিয়ে সময় শেষের ইশারা দিয়ে সেখানেই ম্যাচের সমাপ্তি টানেন রেফারি।