বর্তমানে সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বগতি ও মৃত্যুহার বেড়েই চলেছে। বর্তমান করোনা ভ্যারিয়েন্টের বেশির ভাগই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট যা কিনা ভয়ানক, ভিন্ন এবং একেবারেই ধারণার বাইরে সংক্রমণের গতিবিধি। বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রে কোন জ্বর বা কাশির লক্ষণ নেই। কিন্তু সর্বাঙ্গে ব্যথা (শরীর, ঘাড়, মাথা, হাড় ও অস্থিসন্ধিতে), নিউমোনিয়া, বুকের উপরের অংশে ব্যথা, রুচি ও গন্ধবিহীন সহ সাধারণ দুর্বলতা ও সাথে রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে এই ভাইরাস অনেক সময় নাক ও গলায় পাওয়া যায় না, সরাসরি ফুসফুসে আক্রমণ করে। তাই অনেক সময় আরটি পিসিআর টেস্টেও নেগেটিভ আসলেও করোনা ভাইরাস পজিটিভ থাকতে পারেন, যা কিনা চিকিৎসক লক্ষণ দেখে বুঝতে পারেন। কোভিড ডেল্টা খুবই তীক্ষ্ণ ও দ্রুত সংক্রমক এবং সরাসরি ফুসফুসকে আক্রান্ত করে, যা ভাইরাল নিউমোনিয়া নাম মেডিকেল গবেষকরা চিহ্নিত করেছেন। এর ফলে রোগী সহজেই এবং অল্প সময়েই অঙিজেন সংকটাপন্ন হয়। সুতরাং কোভিড ডেল্টা খুব মারাত্মক ও লক্ষণবিহীন হওয়াতে আরো বেশি ভয়ানক সংক্রমণ হিসেবে চিহ্নিত।
প্রতিরোধের উপায় – মাস্ক (অনেকেই বলে ডাবল মাস্ক) পরা, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, হাত ধৌত করা. লক্ষণবিহীন হওয়াতে আরো বেশি সতর্কতা বাঞ্চনীয়। বিশেষ করে বয়স্ক রোগী যাদের বয়স ৪০ উর্ধ তাদের প্রতি দুইঘণ্টা অন্তর অঙিজেনের পরিমাণ অঙিমিটার দিয়ে মেপে নিবেন। জ্বর এর পরিমান দেখবেন। এছাড়া যে কোন সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ডায়বেটিস প্রেসার কিডনী বা অন্যান্য রোগে যারা আক্রান্ত তাদের বিষয়ে আরো বেশি মনোযোগ দিতে হবে। (৩৫ বা ৩৫ উর্ধ্ব মানুষের টিকা নিবন্ধন চলছে, দ্রুততার সাথে টিকা নিবন্ধন করুন।)