কোভিডে পুষ্টির ক্ষতি পোষাতে দরকার জরুরি উদ্যোগ : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ প্রস্তাব

| বুধবার , ৮ ডিসেম্বর, ২০২১ at ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ

কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টির যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে জরুরি উদ্যোগ ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে টোকিও নিউট্রিশন ফর গ্রোথ সামিট-২০২১-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এ আহ্বান জানান তিনি। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে বিশ্ব সমপ্রদায়ের সামনে পাঁচ দফা প্রস্তাব পেশ করেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুষ্টি সংক্রান্ত জাতিসংঘের দশকব্যাপী পরিকল্পনা অর্ধেক পথ পেরোনোর কালে সব ধরনের পুষ্টিহীনতার অবসান ঘটাতে বিশ্বজুড়ে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে সাহসী অঙ্গীকারের সময় এসেছে। সব নাগরিকের জন্য পুষ্টি নিশ্চিত করা কঠিন কাজ হলেও পুষ্টি নিরাপত্তায় বিনিয়োগে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে উপকার অনেক, যা টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের পথে নিয়ে যায়।
শেখ হাসিনা বলেন, চলমান কোভিড ১৯ মহামারীর কারণে আমাদের পুষ্টি উদ্যোগগুলো মারাত্মক ধাক্কা খেয়েছে। মহামারীর প্রতিবন্ধকতাগুলো কাটানোর পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টির ক্ষেত্রে তার ক্ষতি মোকাবেলায় জরুরি পদক্ষেপ ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রয়োজন।
গত এক দশকে বাংলাদেশ অর্থনীতি, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টিতে ব্যাপক সাফল্য ও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে বলে জানান তিনি। সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে আওয়ামী লীগ সরকার অনেক উদ্যোগ নিয়েছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য ভাতা চালু করা হয়েছে। অসচ্ছল গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের নগদ ভাতা দেওয়া হয়। স্কুল ছাত্রদের জন্য মিড-ডে মিল চালু করা হয়েছে। আমরা খাদ্য নিরাপত্তা এবং উন্নত পুষ্টির লক্ষ্যে শস্য, শাকসবজি, মাছ, মাংস, ডিম ও ফলের উৎপাদন বহুমুখী করছি। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে পাঁচটি প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী।
পুষ্টি কর্মসূচিতে এর প্রভাবসহ কোভিড ১৯-এর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়কে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। উচ্চ ফলনশীল পুষ্টিকর খাবার বাড়ানোর জন্য অগ্রিম গবেষণার জন্য সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। জরুরি দুর্যোগ থেকে নিরাপদ রাখতে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে খাদ্য ব্যাংক গড়ে তোলা। খাদ্যে পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধির জন্য সর্বোত্তম অনুশীলন এবং দক্ষতা বিনিময়। জলবায়ুর কারণে চরম ভাবাপন্ন পরিবেশের কারণে উন্নয়নশীল বিশ্বে খাদ্য উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তা পুষিয়ে নিতে প্রতিশ্রুত জলবায়ু অভিযোজন তহবিল দ্রুত বিতরণ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ক্রীড়া স্কুল প্রতিষ্ঠা প্রকল্প একনেকে অনুমোদন
পরবর্তী নিবন্ধবুদ্ধিজীবীদের প্রতি