কোভিডের নতুন সংস্করণ : সতর্কতায় ভয়ের কিছু নেই

| বৃহস্পতিবার , ১২ জুন, ২০২৫ at ২:৪০ অপরাহ্ণ

কভিড এর নতুন সংস্করণ: ভয়ের কারণ আছে কি? ধীরে বাড়ছে কভিড সংক্রমণ, জনমনে কিছুটা আতংক লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্বাভাবিক, আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে, ২০২০, ২০২১ সেই ভয়াবহ সময়ের কথা। এক নতুন ভাইরাসের আগমনে উথাল পাথাল পৃথিবী। চারিদিকে মৃত্যুর ভয়াবহতা আর একটুখানি অক্সিজেন এর জন্য কি হাহাকার! এই অচেনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে অসম লড়াইয়ে আমরা নাস্তানাবুদ, তবে আস্তে আস্তে আমরা চিকিৎসা আয়ত্ত করেছি এবং সবাইকে টীকার আওতায় এনেছি।

এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কি কি জানি? ২০২৪ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত *কভিড-১৯-এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট* সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং গবেষকরা প্রধানত *ওমিক্রন (Omicron)* সাব-ভ্যারিয়েন্টগুলির উপর নজর রাখছেন, যেমন *JN.1, **KP.2, **KP.3, এবং **LB.1*। এগুলি আগের ভ্যারিয়েন্টগুলির তুলনায় বেশি সংক্রামক, তবে সাধারণত কম গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টি করে (বিশেষত টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে)।

মূল তথ্যসমূহ :
1. *সর্বশেষ ভ্যারিয়েন্ট*:
– *JN.1* (ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট) ২০২৩-২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী প্রাধান্য বিস্তার করে। এটি *ইমিউন ইস্কেপ* (অ্যান্টিবডি এড়ানোর ক্ষমতা) বৃদ্ধি করেছিল।
– *KP.2 ও KP.3* (JN.1-এর অবতরণ): ২০২৪ সালের মাঝামাঝি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

2. *লক্ষণ*:
– সাধারণত হালকা (সর্দি-কাশি, জ্বর, গলা ব্যথা, ক্লান্তি)।
– জয়েন্ট ব্যথা, অতিদ্রুত ক্ষুধা কমে যাওয়া ও নিউমোনিয়া।

3. *টিকার কার্যকারিতা*:
– আপডেটেড mRNA টিকা (২০২৩-২০২৪ এর মডিফাইড বুস্টার) JN.1 ও KP.2-এর বিরুদ্ধে আংশিক সুরক্ষা দেয়।

4. *সতর্কতা*:
– উচ্চঝুঁকি গ্রুপ (বয়স্ক, ক্রনিক রোগী) এখনও গুরুতর অসুস্থতার শিকার হতে পারেন।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট:
– ২০২৪ সালের শুরুতে JN.1 এর কিছু কেস শনাক্ত হয়।

*সুপারিশ*:
– টিকা আপডেট রাখুন (বিশেষত বয়স্করা)।
– জনসমাগমে মাস্ক ব্যবহার ও হাতের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
– নতুন উপসর্গ দেখা দলে টেস্ট করান।

দ্রষ্টব্য: কোভিড-১৯ পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তনশীল, তাই WHO বা স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ নির্দেশনা অনুসরণ করুন।
আতংকিত না হয়ে সচেতন হউন। সাস্থ বিধি মেনে চলুন। পরিবার এর বয়স্ক সদস্য বিশেষ করে যারা নানা জটিল রোগে আক্রান্ত তাদের যত্ন নিন। অতীতের মত আমরা এ যুদ্ধে জয়ী হব, ইনশাআল্লাহ।
সবাই ভালো থাকবেন।

ডা. মো: আবদুর রব
সহযোগী অধ্যাপক মেডিসিন
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাবেক যুবলীগ নেতাকে অপহরণ, যৌথবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার 
পরবর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় সেলুন থেকে তরুণের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার