কোপার আরেকটি ফাইনালে যেতে আর্জেন্টিনার বাধা কানাডা

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ৯ জুলাই, ২০২৪ at ৯:৪২ পূর্বাহ্ণ

কোপা আমেরিকা কাপের যৌথভাবে সবচাইতে বেশি ১৫ বার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। আগের ৪৮ টি আসরে আর্জেন্টিনা ফাইনাল খেলেছে ২৯ বার। এবার ৩০ তম ফাইনালে খেলার অপেক্ষা। আর সে পথে বাধা কানাডা। এবারের কোপা আমেরিকা কাপের শুরুটা করেছিল আর্জেন্টিনা এই কানাডাকে হারিয়ে। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে কানাডাকে ২০ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল মেসির দল। মাঝখানে তিন ম্যাচ পর আবার সেই কানাডার সামনে আর্জেন্টিনা। প্রথম দেখাটা ছিল গ্রুপ লিগ পর্বে। আর এবারের দেখাটা নক আউট পর্বে। এই একটি ম্যাচ জিতলেই ফাইনালে যাবে আর্জেন্টিনা। যদিও কোপা আমেরকিা কাপের ফাইনালটা আর্জেন্টিনার জন্য ডালভাত। কিন্তু কানাডার জন্য একেবারে আরাধ্য। কারণ প্রথমবারের মত কোপা আমেরিকা কাপে খেলতে নেমে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে কানাডা। এই সেই রেকর্ডকে ইতিহাস সৃষ্টি করতে চায় দেশটি। তবে প্রতিপক্ষ যেহেতু আর্জেন্টিনা তখন সেটা কানাডার জন্য এভারেস্ট পাড়ি দেওয়ার মত। কোপার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা রয়েছে দারুণ ছন্দে। এমন দলের বিপক্ষে কতটা লড়াই করতে পারবে কানাডা সেটা সময়ই বলে দেবে। যদিও কানাডার কোচ জেসে মারশ বলেছেন তারা আর্জেন্টিনাকে চমকে দিতে চায়। শুধু তাই নয় মাঠে লিওনেল মেসিকে আটকে দিতেও চান কানাডার কোচ। কিন্তু যুগে যুগে বহু কোচ এসে লিওনেল মেসিকে আটকানোর কথা বলে গেছেন। পরক্ষণে তারাই সবচেয়ে বেশি ভুগেছে মেসির কারণে। কারন মেসিকে আঠকানোর কৌশল আবিষ্কার করতে পারেনি কেউই। এবার কানাডার কোচও ঘোষণা দিলেন আগের ম্যাচের ভুলগুলো শুধরে মেসিকে আরও ভালোভাবে আটকানোর। কোপার প্রথম সেমিফাইনালে কাল বাংলাদেশ সময় ভোর ছয় টায় আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে প্রথমবার কোপার সেমিতে খেলতে এসে চমক সৃষ্টি করা কানাডা। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে কানাডা দুটি ম্যাচ খেলেছে। যার একটিতে ৫০ গোলে হেরেছিল। আর অপরটি হচ্ছে এবারের কোপা আমেরিকা কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি। যেটিতে কানাডা হেরেছে ২০ গোলে। কানাডা চাইছে সে হারের শোধ নিতে। কিন্তু মেসি যে দলের প্রাণভোমরা সে দলের বিপক্ষে জেতাটা কতটা কঠিন সেটা বোধ হয় কমবেশি সব দলই জানে। সেমিফাইনালে পুরো শক্তি নিয়ে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। কোয়ার্টার ফাইনালে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া না খেললেও সেমিফাইনালে থাকছেন এই প্লে মেকার। তাই আজেন্টিনাকে হারিয়ে ফাইনালে যাওয়ার ইতিহাস গড়াটা পাহাড় ডিঙ্গানোর মত। কারন দলটির গোল পোস্ট থেকে শুরু করে স্ট্রাইকার জোন পর্যন্ত দৃুর্দান্ত সব ফুটবলারে ভরা। গোল পোস্টের নিচে একজন মার্তিনেজ। আক্রমণভাগে আরেক মার্তিনেস। মাঝে মেসি, ডি মারিয়া, ডি পলরা রয়েছেন। এমন দলের বিপক্ষে জিতে ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন দেখাটা নিঃসন্দেহে কঠিন একটি কাজ। তবে সে কাজটি করতে চায় কানাডা। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে তারা কতটা সফল হবে সেটা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে কাল ভোর পর্যন্ত। কানাডার কোচ বলেন প্রথম ম্যাচে মেসিকে ফ্রি করে দেওয়াতে অনেক সুযোগ পেয়েছিলেন এই মহা তারকা। কিন্তু সেমিতে সেটা হতে দিতে চান না কানাডা কোচ। রক্ষণভাগ ভালোভাবে সামলানোর পাশাপাশি আক্রমণাত্মক খেলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন জেসে মারশ। তিনি বলেন এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ। আমরা শুধু রক্ষণভাগই সামলাবো না। আমরা আরও আক্রমণাত্মক খেলবো। তারপর দেখবো আমরা সেটা পারি কি না। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সেমিফাইনালকে কানাডার ইতিহাসের সেরা ম্যাচ হিসেবে অভিহিত করেন মারশ। তিনি বলেন আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচটি আমরা যত ম্যাচ খেলেছি তার মধ্যে সেরা হতে যাচ্ছে। আমরা যদি শক্তিতে পেরে নাও উঠতে পারি তবুও চেষ্টা করবো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দায়িত্ব নিলেন মুশতাক আহমেদ
পরবর্তী নিবন্ধবাস্কেটবলে সাফল্য পাওয়া কঠিন মনে করছেন না আজম-প্রসেনজিত