যেখানে একজন ফুড আপ্পি, ফুড ভাইয়া, টিকটকার, নানান আইটেমের ব্লগাররা মাসে ৫/১০ লাখ টাকা আয় করে, স্কুলের গণ্ডি পার না হওয়া আলোচিত হিরো আলম বছরে কোটি টাকা আয় করে– সেখানে গুগল, মাইক্রোসফটের একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারও তো এত টাকা পায় না। দেশ সেরা বিদ্যাপীঠ বুয়েট থেকে পাশ করা একজন প্রকৌশলী ক’টাকা বেতনের চাকরি পায়। সরকারি মেডিকেল থেকে পাস করা একজন মেধাবী চিকিৎসককে ৩০ হাজার টাকা বেতনের দাবিতে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে রাস্তায় বসে আন্দোলন করতে হয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীরা তো বিসিএস নামক সোনার হরিণের পেছনে ঘুরতে ঘুরতে চাকরির বয়সসীমাই পার করে দিচ্ছে। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের করুণ অবস্থার কথা না–ই বললাম।
অবস্থা যদি এ–ই হয়, তাহলে শিক্ষায় সময় মেধা অর্থ বিনিয়োগে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে সমাজ। এত মেধা শ্রম ঘাম ঝরিয়ে পড়ালেখা করে, পরিবারের লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে আখেরে কী লাভ হলো! সবাই কি তাহলে শর্টকাটে টাকা আয়ের মাধ্যম টিকটক, ব্লগারদের পথে হাঁটবে! কোনপথে এগুবে আগামী প্রজন্ম। এর শেষ পরিণতিইবা কী ? এ প্রশ্ন আজ সবার মনে!












