চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিনকে পুলিশ ব্যুরো অভ ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) বদলি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিএমপি’র মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) আরাফাতুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে কোতোয়ালী থানার ওসি নেজাম উদ্দিনকে পিবিআইতে বদলি করা হয়েছে। বাংলানিউজ
উল্লেখ্য, স্বামীর মোবাইল ফোন ছিনতাই হওয়ার ঘটনায় মামলা করে পরিবার নিয়ে নিরাপত্তা শঙ্কায় পড়েছেন বলে গত ৮ নভেম্বর সোমবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন(চসিক) নারী কাউন্সিলর রুমকী সেনগুপ্ত। তিনি চসিকের সংরক্ষিত ৭নং (ওয়ার্ড ১৬, ২০ ও ৩২) ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
এ সময় তার স্বামী প্রেমাংশু সেনগুপ্তও উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রেমাংশু সেনগুপ্ত বলেন, গত ৬ অক্টোবর দুপুরে আলকরণের মুখ থেকে হেঁটে সদরঘাটে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার সময় দু-তিনজন অপরিচিত লোক পিছু নেয়। ২০-৩০ ফুট যাওয়ার পর পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে অভিনব কায়দায় আমার আইফোন-১২ প্রো ম্যাক্স মডেলের ফোনটি ছিনিয়ে নেয়। গায়ে ধাক্কা দেওয়া তিনজনের মধ্যে একজন লোহাগাড়ার চুনতি উপজেলার আশরাফ মিয়ার ছেলে আব্বাস উদ্দিন। রিয়াজুদ্দিন বাজারে মোবাইল মার্কেটে তার দোকান আছে।
মোবাইল চোর চক্রের হোতা আব্বাস উদ্দিন ওসি নেজামের আপন চাচাতো ভাই বলেও অভিযোগ করেন কাউন্সিলর রুমকি।
ঘটনার দিন কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে ওসি নেজাম উদ্দিন তা গ্রহণ না করে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ করে ওই সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত বলেন, “উল্টো ওসি বলেছেন, এটাতো প্যানেল মেয়রের গিফট দেওয়া মোবাইল। হারিয়ে গেছে তো কী হয়েছে, আরেকজন আরেকটা গিফট দেবে। ২২ অক্টোবর আবার থানার ওসিকে ফোন করি। সেই পর্যন্ত ওসি মোবাইল উদ্ধারে কোনো ব্যবস্থা নেননি।”