যাত্রী ওঠানামার জন্য দাঁড়ালে মামলা না দেওয়া এবং পার্কিংয়ের নির্দিষ্ট জায়গা দেওয়ার দাবিতে নগরের কোতোয়ালী থানার সামনে সড়ক অবেরোধ করে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ করেছেন ম্যাক্সিমা চালকরা। গতকাল রোববার দুপুর ১২টায় বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এসময় লালদীঘি থেকে কোতোয়ালী মোড় পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। পরে পুলিশ এসে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। দেড়টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ ও চালকদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, কোতোয়ালীর এক সার্জেন্ট রাস্তার ওপর গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখায় রাসেল নামে এক ম্যাক্সিমার চালককে মামলা দেন। পরে অন্য চালকরা এটার প্রতিবাদ করে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। তবে বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন, তাদের পুলিশ বিভিন্ন সময়ে হয়রানি করে। যাত্রী ওঠানামানোর জন্য সড়কে দাঁড়ালেও ‘হয়রানিমূলক’ মামলা দেয় পুলিশ।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ মারিফুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, এই মুহূর্তে পুলিশ হয়রানিমূলক মামলা করবে কিংবা চাঁদা দাবি করবে, এমন সুযোগ নেই। তারপরও এ বিষয় নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করা হবে। সড়কটিতে (লালদীঘি– কোতোয়ালী) ম্যাক্সিমা গাড়ির জন্য প্রায় যানজট লেগে থাকে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল করিম জানান, ট্রাফিক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে তাদের (বিক্ষোভকারী) সাথে বৈঠক করেন। বুঝিয়ে বলার পর তারা চলে যান। আনোয়ার হোসেন নামে এক চালক বলেন, কোতোয়ালী মোড়ে দাঁড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট জায়গা নেই। কিন্তু মোড়ে দাঁড়ালেই পাঁচ হাজার টাকার মামলা দেওয়া হচ্ছে। অথচ সারা দিন গাড়ি চালিয়ে এর অর্ধেকও আয় হয় না। একইভাবে চকবাজার পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায়ও একইভাবে মামলা দেয়া হয়। আরেক চালক দাবি করেন, কাগজপত্র ঠিক থাকলেও তাদের হয়রানি করা হয়। তাই তারা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছেন।
এদিকে বিক্ষোভ চলাকালে লালদীঘি থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। ফয়সাল নামে এক পথচারী বলেন, মুরাদপুর থেকে ছেড়ে আসা গাড়িতে করে এসেছেন। কোতোয়ালী পর্যন্ত যায় গাড়িগুলো। কিন্তু সড়ক বন্ধ থাকায় লালদীঘি নামিয়ে দেয়া হয়। বাকি পথ হেঁটে যেতে হচ্ছে। আজগর নামে বয়স্ক এক ব্যক্তিও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, বয়স ৬৫ চলছে। শরীরও ভালো না। এত পথ হেঁটে যাওয়া কষ্টকর।