ফিজিক্যাল ফিটনেসের পাশাপাশি ক্রিকেট অনুশীলনটা চলছিল ঠিকঠাক। এরই মধ্যে ২৪ ঘণ্টা আগে এলো শ্রীলংকা সফর বাতিলের ঘোষণা। আর তাতে হতাশ ক্রিকেটারদের সবাই। করোনার মধ্যেও মাঠে ফেরার আশায় নিজেদের তৈরি করছিলেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু তাতে ছেদ পড়ল। এ যেন আশাভঙ্গের বেদনায় দগ্ধ হওয়ার। স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ ক্রিকেটারদের। তবে একটু বেশিই মন খারাপ পেসার মোস্তাফিজের। সবার মতো কাটারমাস্টারও হতাশ। তারও মন খারাপ। পাশাপাশি একটা অন্যরকম আফসোস এবং আক্ষেপ আছে তার। যা নেই আর কারও। মোস্তাফিজের সামনে ছিল আইপিএল খেলার হাতছানি। গত বছর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএল খেলা কাটার মাস্টারকে এবারও পেতে আগ্রহী ছিল তিন বড় দল কলকাতা নাইট রাইডার্স, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। তার ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রস্তাব ছিল ১ কোটি টাকার। কিন্তু একই সময় শ্রীলংকা সফর থাকায় বিসিবি থেকে আগেভাগেই না করে দেয়া হয়েছিল। এক কথায় অনুমতি মিলেনি আইপিএল খেলার। সে আফসোসটাই প্রবল হয়ে দেখা দিচ্ছে এখন। এখন নিজের মনকে সান্তনা দেয়া কঠিন হচ্ছে মোস্তাফিজের। অফার ছিল কোটি টাকার। কিন্তু যে সফর সামনে রেখে আইপিএল খেলতে যাওয়া হলো না, সেই সফর শেষ পর্যন্ত বাতিল হলো। এর চেয়ে আর আফসোসের কী থাকতে পারে? এই পেসার বলেন আমাদের সবার মন খারাপ। মাঠে ফেরার সুযোগ এসেছিল। মনে হচ্ছিল করোনার ভয়াল থাবার ভেতরেও আমরা আবার ক্রিকেটে ফিরব। আবার বল ও ব্যাট হাতে মাঠে নামব। টেস্ট খেলার আশায় প্রস্তুতিও নিচ্ছিলাম। আমি সাদা বলের চেয়ে লাল বলেই অনুশীলন করেছি বেশি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফর বাতিল হয়ে গেল। সবার মতো আমারও মন খুব খারাপ। মন খারাপের পাশাপাশি আফসোসও হচ্ছে। কলকাতা ও মুম্বাই থেকে যোগাযোগ করেছিল। আমাকে পেতে খুবই উৎসাহী ছিল তারা। এ ছাড়া ব্যাঙ্গালুরু থেকেও শেষ দিকে ফোন করেছিল। শ্রীলংকা সফর না থাকলে হয়তো আমি ঠিকই চলে যেতাম আইপিএল খেলতে।
গেলে যে সব ম্যাচ খেলতে পারতাম তা বলব না। তবে দলের সঙ্গে থাকা হতো। অনুশীলন করা যেত। নিজেকে ধীরে ধীরে তৈরি করতে পারতাম। এক সময় ম্যাচ খেলার সুযোগ চলে আসত। আমার ক্যাটাগরিতে প্রস্তাবটা ছিল ১ কোটি টাকার। তা থেকেও বঞ্চিত হলাম। সব মিলে খারাপই লাগছে।