প্রায় দেড় বছর পর আয়ারল্যান্ড সিরিজ দিয়ে ফিরেছেন শারমিন আক্তার সুপ্তা। প্রথম ম্যাচেই ৮৯ বলে ৯৬ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। তিন ম্যাচে সবমিলিয়ে তার ব্যাট থেকে ৭০.৩৩ গড় ও ৮৭.৯২ স্ট্রাইক রেটে এসেছে ২১১ রান করেছেন শারমিন। অথচ বাদ পড়ার আগে ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচে করেছিলেন শূন্য ও দুই রান। মাঝের এই সময়ে মাস্কো–সাকিব ক্রিকেট একাডেমিতে মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের তত্ত্বাবধানে অনুশীলন করেছেন শারমিন। জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ নাসিরুদ্দিন ফারুক জানিয়েছিলেন এমন। গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এসে শারমিন নিজেও শুনিয়েছেন তার বদলে যাওয়ার গল্প। তিনি বলেন, ‘প্রথমত হচ্ছে কোচের প্রতি বিশ্বাস থাকাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। স্যার যে কাজগুলো করিয়েছেন, প্রথমত টেকনিক্যাল অনেক জিনিস বদল করলে প্রথমে যেকোনো ব্যাটার নিতে চায় না। কারণ দীর্ঘদিন আপনি খেলার পর আপনার যদি টেকনিক্যাল কিছু পরিবর্তন হয় অনেক সময় অস্বস্তি লাগে।’ ‘আমার যে বিশ্বাস ছিল স্যারের প্রতি, উনি আমাকে যে ড্রিলটা করাতো, আমি খুব বিশ্বাস নিয়ে প্রসেসটা মেনে করার চেষ্টা করতাম। এখনও অনেক কিছু নিয়ে তর্ক হয়। আমাদের খেলা নিয়ে অনেক তর্ক হয়, অনেক আলোচনা হয়। কিন্তু হ্যাঁ, আমি অনেক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। স্যারের কাছে অনুশীলন করে আমার গেম সেন্স উন্নতি হয়েছে।’ সালাউদ্দিনের মানসিক সমর্থন প্রসঙ্গে শারমিন বলেন, ‘বরাবরই সমর্থন দেন। এই সিরিজ না, শেষ ছয় মাস। উনি আমাকে ছোটবেলা থেকেই মানসিক সমর্থন দিচ্ছেন। হয়তো উনাদের সমর্থনের কারণে ক্রিকেটটা খেলে যাচ্ছি এখনও।’ তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, সিরিজ চলাকালীন কথা হয়েছে। আজকে যেমন লেফট আর্মে আউট হয়েছি। লেফট আর্মে বের হতে নিষেধ করেছিলেন। আবার হয়তো তাদের সময় হলে হয়তো ফোন করে বকা দিতে পারেন।’ ‘টুকটাক টেকনিক্যাল বিষয়গুলো সে পর্যবেক্ষণ করতেছে। কোচ হিসেবে উনি তো আমাকে পর্যবেক্ষণ করেন, পিংকির সঙ্গে কথা হয়। আমরা তার অধীনে যারা অনুশীলন করেছি,আমাদের টেকনিক্যাল বিষয়গুলো নিয়ে তার সঙ্গে কথা হয়।’ বাংলাদেশের হয়ে এখন অবধি ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করেছেন কেবল ফারজানা হক পিংকি। প্রথম ম্যাচে সুপ্তার সামনে সুযোগ ছিল তার পাশে বসার। একটি জায়গায় ছাড়িয়েও যেতে পারতেন। দ্রুততম সেঞ্চুরি করার সুযোগ ছিল শারমিনের। এ নিয়েও কথা বলেন তিনি। শারমিন বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে সুযোগটা ছিল। প্রথম দিন আমার কাছে মনে হয়েছে উইকেটটা বেশ ভালো ছিল। ওই দিন আমাদের বোলাররা অনেক ভালো বল করেছে। আমার কাছে মনে হয়েছে দলের আড়াইশ রানের জন্য গিয়েছি, সেঞ্চুরির জন্য যাইনি। ওইটাও আমি যে বলটায় আউট হয়েছি, চুজটা ঠিক ছিল। নিজের টেকনিক্যাল কারণে আউট হয়েছি।’ ‘এ সিরিজে যেটা হয়েছে আমি যেটা মিস করেছি সেটা নিয়ে পরিবার থেকে শুরু করে, বন্ধু সবাই আক্ষেপ করেছে। টিমমেটরাও আক্ষেপ করেছে। আজকে যদি বলেন সুযোগ, দলের জন্য…রান কম ছিল। জানি না হতো কি না। কিন্তু চেষ্টা করেছি, হয়নি। পরের সিরিজে ইনশা আল্লাহ চেষ্টা করবো।’