বাফুফের উদ্যোগে এএফসি ‘বি’ কোচিং কোর্স থেকে শুরু হয়েছে। এতে অংশ নিতে ভুটান থেকে সোমবার ঢাকায় আসেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সিনিয়র ফুটবলার সানজিদা আক্তার। এশিয়া কাপ নিশ্চিত করা দলের অন্যতম ফুটবলার শিউলি আজিম ও ‘বি’ লাইসেন্স কোর্স করছেন। পাঁচ নারী ফুটবলারসহ মোট ২৪ জন এই কোর্সে অংশ নিয়েছেন। বাংলাদেশ নারী ফুটবলের বাঁক বদলের শুরু ২০১৬ সালে এএফসি অ–১৬ টুর্নামেন্টের বাছাইয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাধ্যমে। সেই দলের অন্যতম সদস্য সানজিদা। সানজিদা বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সিনিয়র ফুটবলার। ২০২২ ও ‘২৪ দুই সাফ চ্যাম্পিয়ন দলেই তিনি ছিলেন। ভারতের বিখ্যাত ক্লাব ইস্ট বেঙ্গলেও খেলেছেন। ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারকে বিদ্রোহ করার পর আর জাতীয় দলে ডাক পাননি। ফলে এশিয়ান কাপ বাছাই, জর্ডান ও দুবাই কোনো সফরেই তিনি ছিলেন না। সানজিদা ভুটান নারী লিগে থিম্পু সিটির হয়ে খেলেন। ভুটান লিগের ক্লাবে যোগ দিতে এশিয়া কাপ থেকে দেশে ফিরে ঋতুপর্ণা, মনিকা চাকমা পারোর উদ্দেশে রওনা হন পরের দিন সকালেই। সানজিদা কোচিং কোর্সের জন্য ক্লাব থেকে ছুটি নিয়ে দেশে এসেছেন। বাফুফে ভবনে সানজিদার জীবনের অনেক সময় কেটেছে। জাতীয় দলে ডাক না পাওয়ায় গত মাস তিনেক বাফুফে ভবনে সেভাবে আসা হয়নি তার। বাফুফে ভবনের তৃতীয় তলায় কোচিং কোর্স হয়। তাই চতুর্থ তলায় ক্যাম্পেই থাকছেন সানজিদা। বি লাইসেন্স কোচিং কোর্সের ফি ৫০ হাজার টাকা। নারী ফুটবলারদের কোচিংয়ে উৎসাহিত করতে তাদের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা রাখা হয়। বিগত সময়ে বি লাইসেন্স সাত দিনে সমাপ্ত হতো। সামপ্রতিক সময়ে দুই অংশে সাত দিন করে কোর্স আয়োজন হচ্ছে। এবারের ‘বি’ লাইসেন্সের প্রথম অংশ ৭–১৭ জুলাই ও দ্বিতীয় অংশ ১৯–২৭ আগস্টে অনুষ্ঠিত হবে। বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সাইফুল বারী টিটু ইন্সট্রাক্টর হিসেবে কোর্স পরিচালনা করছেন। বাংলাদেশে এখনো নারী ‘এ’ লাইসেন্সধারী কোচ নেই। ‘বি’ ডিগ্রি রয়েছে অবশ্য কয়েকজনের। সেই সংখ্যাটা দশের বেশি নয়।