এক ম্যাচের টুর্নামেন্ট। যেখানে খেলবে সাবেক, বর্তমান স্থানীয় এবং জাতীয় ফুটবলাররা। এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল কমিটি। এক ম্যাচের টুর্নামেন্ট হলেও এই ম্যাচের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে আয়োজকদের কাছে। কারণ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকো ছিলেন এদেশের ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম প্রাণপুরুষ। তিনি ক্রিকেট বোর্ডের ডেভেলপম্যান্ট কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। তার সময়েই মূলত বাংলাদেশের ক্রিকেটের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। সেই ক্রীড়া পাগল মানুষটির স্মরণে সারা দেশে হচ্ছে এই এক ম্যাচের টুর্নামেন্ট। যেখানে দশটি বিভাগে ২০টি দল অংশ নেবে। দশ ম্যাচের বিজয়ী দশ দল পরবর্তীতে খেলবে ঢাকায় জাতীয় পর্বে। আগামী ৪ জানুয়ারী শনিবার দুপুর আড়াইটায় এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। যেখানে চট্টগ্রামের উত্তরের একটি দল অংশ নেবে। যার নাম সবুজ দল। আর মহানগরী সহ বাকিদের নিয়ে গড়া দলটির নাম লাল দল। এই টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে নানা কর্মসুচি গ্রহন করেছে আয়োজক কমিটি। যেখানে আগামীকাল ২ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে বর্নাঢ্য র্যালি। এছাড়া ৩ জানুয়ারী চালানো হবে নানা প্রচার প্রচারণা। ৪ জানুয়ারী খেলা শুরুর আগে থাকবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
গতকাল এই টুর্নামেন্ট উপলক্ষ্যে সিজেকেএস সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহ, সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান, টুর্নামেন্ট কমিটির আহবায়ক নিয়াজ মোহাম্মদ খাঁন এবং সদস্য সচিব আহমেদুল আলম রাসেল। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস এস সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, হারুন জামান, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, শওকত আজম খাজা, শিহাব উদ্দিন মবিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য আবুল হাসেম, গাজী সিরাজ উল্লাহ, মসিউল আলম স্বপন, ইসমাইল বালি, মোহাম্মদ জাফর, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার দেশের অণ্য সব সেক্টরের মত খেলাধুলাকেও ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা চাই এ ধরনের টুর্নামেন্টের মাধ্যমে দেশের খেলাধুলাকে আবার জাগরিত করতে। একটা সময় দেশের ফুটবল খেলা দেখার জণ্য মারামারি হতো। মানুষ সকাল থেকে স্টেডিয়ামে গিয়ে বসে থাকতো। কিন্তু এখন সে উন্মদনা নেই। সব শেষ করে দিয়েছে। আমরা চাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফার আলোকে তরুণ সমাজকে সঠিক পথে ফেরাতে। আর সেটা করতে গেলে নানা টুর্নামেন্ট আয়োজন করে আবার খেলাধুলাকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে যেতে হবে।