চট্টগ্রাম বন্দরের আলোচিত কোকেনকাণ্ডে চোরাচালান আইনের ধারায় তৎকালীন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তাসহ তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে আদালত।
এর মধ্যে তৎকালীন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মশিউর রহমান ও সহকারী পরিচালক ওমর ফারুক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ঘটনায় জঠিত আতিকুর রহমান, মোস্তফা কামাল ও একেএম আজাদদের আটক করে গোয়েন্দা কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামানের নিকট হস্তান্তর বিষয়ে সাক্ষ্য প্রদান করেন। অপরজন তৎকালীন সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজার মো. মোশারফ হোসেন চট্টগ্রাম বন্দরে সিঙ্গাপুর থেকে আসা জাহাজ ও জাহাজ থেকে কোকেনের কনটেইনার নামানোর ডকুমেন্টের জব্দ তালিকা বিষয়ে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ তিনজন একই সময় মাদক আইনের ধারাতেও সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ নিয়ে মাদক আইনের ধারায় ২৫ জন এবং চোরাচালানের ধারায় ৩ জন সাক্ষী সাক্ষ্যপ্রদান করেছেন।
আদালত সুত্র জানায়, ২০১৫ সালের ৬ জুন কোকেন জব্দের ঘটনায় মামলা হয়। পরবর্তীতে চার্জশিট দাখিলের মাধ্যমে মাদক আইনের ধারায় ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল এবং চোরাচালান আইনের ধারায় চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি ১০ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়। এরা হচ্ছেন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল, মালিক মোস্তফা কামাল, গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, ও কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপাক একেএম আজাদ রহমান, সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, খান জাহান আলী লিমিটেডের মালিক নূর মোহাম্মদ, নূর মোহাম্মদের ভাই ও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মোস্তাক আহমদ খান, আইটি বিশেষজ্ঞ মেহেদী আলম এবং যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া।