জাতীয় নির্বাচনের ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনের কাজে ব্যবহারের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চাহিদাপত্র অনুযায়ী কর্ণফুলী পেপার মিলস্ থেকে উৎপাদিত কাগজ ইসিতে সরবরাহ শুরু করেছে কেপিএম কর্তৃপক্ষ। নির্বাচন কমিশন থেকে ৯১৫ মেট্রিক টন কাগজের চাহিদাপত্রের বিপরীতে ইতোমধ্যে কেপিএম কর্তৃপক্ষ ৫৩১ মেট্রিক টন কাগজ সরবরাহ করেছে। অবশিষ্ট কাগজ উৎপাদন অব্যাহত আছে এবং ডিসেম্বরের মধ্যেই সব কাগজ নির্বাচন কমিশনকে বুঝিয়ে দেয়া হবে বলে জানান রাষ্ট্রায়ত্ত কর্ণফুলী পেপার মিলস্ লিমিটেডের (কেপিএম) উৎপাদন ও বাণিজ্যিক বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে কর্ণফুলী পেপার মিলস্ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (উৎপাদন) মো. মইদুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ৫৩১ মেট্রিক টন কাগজ নির্বাচন কমিশনে সরবরাহ করেছি। অবশিষ্ট ৩৮৪মেট্রিক টন কাগজ আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে বুঝিয়ে দেবো। প্রতিবারের মতো এবারও নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য আমাদেরকে (কেপিএম) ৯১৫ মেট্রিক টন কাগজ সরবরাহের চাহিদাপত্র দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের চাহিদাপত্র অনুযায়ী আমরা কাগজ তৈরি করা শুরু করেছি একমাস আগে থেকে। প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনসহ সকল নির্বাচনে কেপিএম থেকে কাগজ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এবারের জাতীয় নির্বাচনে আমরা প্রায় ১৩ কোটি টাকার কাগজ সরবরাহ করছি নির্বাচন কমিশনে।
তবে কাপ্তাই লেকের পানি দ্রুত শুকিয়ে যাওয়ায় কাগজ উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানিয়ে মহাব্যবস্থাপক (উৎপাদন) মো. মইদুল ইসলাম বলেন, আমাদের আরও ৩৮৪ মেট্রিক টনের মতো কাগজ উৎপাদন বাকি আছে। এখন শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় কাপ্তাই লেকের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। এটা নিয়ে আমরা চিন্তায় আছি। কাগজ উৎপাদনে প্রচুর পানির প্রয়োজন।
যা লেক থেকে ব্যবহার করা হয়। তিনি জানান, আমাদের তিনটি মেশিন। এখন শুধুমাত্র একটি মেশিন চালু আছে। একটি মেশিনে দিনে ২৫ থেকে ৩০ মেট্রিক টন কাগজ উৎপাদন হয়। আজকে (গতকাল শুক্রবার) মিল বন্ধ ছিল। কাল (আজ শনিবার) থেকে মেশিন চলবে। আমরা চেষ্টা করছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাগজগুলো কমিশনে পৌঁছে দেয়ার। উৎপাদন বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, মোট কাগজের মধ্যে দেড়শ মেট্রিক টন সাদা কাগজ। অবশিষ্ট কাগজ হলো–কালার (হলুদ, নীল ও গোলাপী) কাগজ।












