কেন এই জলাবদ্ধতা

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৫ আগস্ট, ২০২৩ at ৫:৪৪ পূর্বাহ্ণ

গতকাল সকালে যখন ভারী বৃষ্টি হয় তখন কর্ণফুলী নদীতে ছিল জোয়ার। আবার জোয়ারের উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে ছিল বেশি। এদিকে শহরের অনেকগুলো খালের মুখে স্লুইচ গেইট নির্মাণ করা হলেও তা এখনো চালু হয়নি। ফলে জোয়ারের পানি ঢুকে যায় শহরে। অর্থাৎ খালগুলো জোয়ারের পানিতে পূর্ণ হয়ে উঠে। একইসময়ে বৃষ্টি হওয়ায় খালে আশপাশের এলাকার পানি যেতে পারেনি। এমনটাই দাবি করেছেন জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থার দায়িত্বশীলরা।

জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী আজাদীকে বলেন, বৃষ্টির সময় উচ্চ জোয়ার থাকায় প্রভাব পড়েছে। জোয়ারের লেবেল বেশি ছিল। অন্যান্য সময়ের তুলনায় লো টাইড (নিম্ন জোয়ার) থেকে হাই টাইডে (উচ্চ জেয়ার) পানি বেড়েছে ১৪ ফুট। অন্য সময়ে জোয়ারের উচ্চতা ৪ দশমিক ১ বা ৪ দশমিক ২ মিটার থাকলেও আজ ছিল ৫ দশমিক ৬ মিটার। ফলে জোয়ারের পানিতে খাল পুরোটা ভরাট ছিল। যেহেতু জোয়ারের পানিতে খাল ভরে গেছে তখন এলাকার বৃষ্টির পানি আর খালে যেতে পারেনি। তবে এ সমস্যা সবখানে হয়নি। যেসব খালে রেগুলেটর (স্লুইচ গেইট) ফাংশনাল হয়নি সেখানে জোয়ারের পানি ঢুকেছে। তিনি বলেন, আমাদের খালের কারণে কোনো জলাবদ্ধতা হয়নি। আমাদের খালগুলো পরিষ্কার ছিল। খালের কোথাও কোনো বাধও নাই।

তিনি বলেন, হালিশহরআগ্রাবাদ এলাকায় জেয়ারের পানি ঢুকেনি। কারণ ওসব এলাকার জন্য নির্ভরশীল মহেশখালে আমাদের যে রেগুলেটর সেটা চালু হয়ে গেছে। ফলে অন্যান্য এলাকার তুলনায় হালিশহরআগ্রাবাদ এলাকায় ভোগান্তি কম হয়েছে। সিডিএর অন্য প্রকল্পে যে রেগুলেটর রয়েছে সেগুলোর কাজ যদি সম্পূর্ণ হয়ে যেত তাহলে আজ যে অবস্থা হয়েছে ততটা হয়তো হতো না।

তিনি বলেন, রেগুলেটার ফাংশনাল না হওয়ায় চাক্তাই খাল, চাক্তাই ডাইভার্শন খাল ও রাজখালী খাল সংলগ্ন যেসব এলাকা তার পুরোটাই জোয়ারের পানির প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যে পাঁচলাইশ, কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, শোলকবহর, বহাদ্দারহাটসহ আশেপাশের এলাকা উল্লেখযোগ্য। এসব এলাকায় জোয়ারের কারণেই খালে পানি যেতে পারেনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা কাল, আসবে নির্বাচন প্রস্তুতির চূড়ান্ত বার্তা
পরবর্তী নিবন্ধসাইবার হামলার হুমকি, সতর্কতা জারি