কেন্দ্রের পাঁচ কর্মকর্তা ও এক পুলিশ সদস্যকে দায়ী করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা

এক পত্রের পরীক্ষায় অন্য পত্রের প্রশ্ন

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | রবিবার , ১৪ জুলাই, ২০২৪ at ৪:৩৮ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডের বিজয় স্মরণী কলেজ কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ভুল প্রশ্নপত্র দেওয়ার ঘটনায় কেন্দ্রে দায়িত্বরত পাঁচ কর্মকর্তা ও পুলিশের এক সদস্যকে দায়ী করেছে উপজেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি। গত শুক্রবার তদন্ত কমিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম রফিকুল ইসলামের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। ইউএনও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আজ রোববার জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে তদন্ত প্রতিবেদনটি পাঠাবেন বলে জানান। অভিযুক্ত ছয় কর্মকর্তা হলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বিজয় স্মরণী কলেজের অধ্যক্ষ শিব শংকর শীল, পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক মো. নোমান, কেন্দ্রের পরীক্ষা কমিটির সদস্য সহকারী অধ্যাপক শহীদুল্লাহ আজাদ, প্রভাষক ফারজানা আক্তার, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) এবং এক পুলিশ কর্মকর্তা। ঘটনার পরপরই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কমিটির আহ্বায়ক, দুই সদস্যসহ চারজনকে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলা প্রশাসনের ট্রেজারিতে রুটিন অনুযায়ী প্রশ্নপত্র সাজানো ও কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র বিতরণএ দুই স্তরেই দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের গাফিলতি হয়েছে। প্রথমত, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রশ্ন বাছাইয়ের কাজে ট্রেজারিতে যাদের পাঠিয়েছেন, তারা পদার্থ বিজ্ঞান প্রথম পত্রের খামে দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র ঢুকিয়েছেন। ফলে ভুল প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে পৌঁছেছে। দ্বিতীয়ত, কেন্দ্রে কক্ষভিত্তিক প্রশ্নপত্র বণ্টনের আগে প্যাকেট খোলার সময় বিষয় ও কোড যাচাই করে তিনজন কর্মকর্তার স্বাক্ষর দিয়ে প্যাকেট খুলতে হয়। তারা হলেন, কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা প্রশাসনের পাঠানো ট্যাগ অফিসার ও পুলিশের সদস্য। তিনজনই প্রশ্নপত্র বের করার আগে প্যাকেটের গায়ে স্বাক্ষর করেছেন কিন্তু তারা সূচি অনুযায়ী বিষয় ও পত্র কোড মেলাননি। তারা যদি যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতেন, তাহলে প্যাকেট খোলার আগেই ভুল ধরা পড়ত।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্রের সৃজনশীল প্রশ্নপত্রের পরিবর্তে বিজয় স্মরণী কলেজ কেন্দ্রের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের দ্বিতীয় পত্রের সৃজনশীল প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। ঘটনার পর কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয় ওই কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবু হেনা মো. মোস্তফা জামালসহ অন্য তিন শিক্ষককে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমোবাইলে প্রতারণার নিত্য নতুন কৌশল
পরবর্তী নিবন্ধচা শিল্পে প্রচুর সম্ভাবনা, কিন্তু কাজে লাগানো যাচ্ছে না